টুইট করেছেন তথাগত রায়। তাতে তিনি লিখেছেন, “সত্যপাল মালিককে শিলংয়ে স্বাগত। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। ২০ মে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। এখন রাস্তার শেষ দেখা যাচ্ছে।”
এবার কী তবে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছেন। তাহলে তো বঙ্গ রাজনীতি জমে ক্ষীর। লোকে বলাবলি করছে এতে কি হিতে বিপরীত হবে না ? আবার তো লবির সংখ্যা বাড়বে। একা দীলিপেই রক্ষা নেই , আবার তথাগত ! কিন্তু আপাতত ওয়েট এন্ড ওয়াচ।বাংলার রাজনীতিতে ফেরার ব্যাপারে তথাগত রায়ের আগ্রহ নতুন নয়। তবে মঙ্গলবার তাঁর একটি টুইটে নতুন সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : IPL 2020: টাইটেল স্পনসরের লড়াইয়ে জিতল Dream11
তাহলে কি রাস্তার শেষ ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ? সে প্রশ্নের জবাব তথাগতবাবু দেননি। কিন্তু বিজেপি সূত্রে খবর, একুশের আগে রাজ্য রাজনীতিতে ফেরার তীব্র আগ্রহ রয়েছে তাঁর। এমনকি রাজ্য বিজেপিতে তথাগতবাবুর একদা ঘনিষ্ঠদের মতে, কে বলতে পারে উনি হয়তো মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী হতে চাইছেন।
Upon receipt of news from Rashtrapati Bhavan I spoke to Shri Satyapal Malikji,the new Governor-Designate and welcomed him to Shillong. It may take him a little time to come here.
I was supposed to have been relieved on 20th May. Now the end of the road is in sight! ???— Tathagata Roy (@tathagata2) August 18, 2020
যে বিষয়ে কোনো জল্পনা নেই তা হল মেঘালয়ের নয়া রাজ্যপাল করা হয়েছে সত্যপাল মালিককে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কবিন্ড তাঁকে নিয়োগপত্র দিয়ে দিয়েছেন। সেই হিসাবে মেঘালয় আর ফাঁকা নেই। মহারাষ্ট্রের গভর্নর ভগৎ সিং কোশিয়ারিকে গোয়ার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।রাষ্ট্রপতি ভবনের সেই বিবৃতির কোথাও বলা হয়নি, তথাগত রায়কে কোন রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। অর্থাৎ রাজ্যপাল পদে তথাগতর ইনিংস শেষ হল বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে
তাহলে কি রাস্তার শেষ ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ? সে প্রশ্নের জবাব তথাগতবাবু দেননি। কিন্তু বিজেপি সূত্রে খবর, একুশের আগে রাজ্য রাজনীতিতে ফেরার তীব্র আগ্রহ রয়েছে তাঁর। এমনকি রাজ্য বিজেপিতে তথাগতবাবুর একদা ঘনিষ্ঠদের মতে, কে বলতে পারে উনি হয়তো মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী হতে চাইছেন।
এমনিতে রাজ্যপাল হিসেবে মনোনীত হলেও তথাগত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে চেষ্টা করেননি কোনওকালে। বিশেষ করে ত্রিপুরা ও শিলংয়ের রাজভবনে বসে নিয়মিত টুইটে যে ধরনের মন্তব্য করতেন তিনি তা নিয়ে বহুবার বিতর্ক হয়েছে। রাজভবনে বসেই বাংলায় তৃণমূল সরকার ও শাসক দলের বিরুদ্ধে বারবার মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর সেই সব টুইটে উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির ইন্ধন ছিল বলে অতীতে অনেকবারই অভিযোগ করেছেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব।
অনেকের ধারণা ঊনিশের ভোটে বিজেপির সাফল্য তথাগত অধিক উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। আবার কেউ কেউ মনে করছে আসলে কেন্দ্রীয় বিজেপি ইচ্ছাকৃতই তথাগতকে ময়দানে নামাচ্ছে।
আরও পড়ুন : করোনা পরবর্তী শুশ্রুষা, অমিত শাহকে ভর্তি করা হল দিল্লির এইমসে, থাকবেন ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে