চালক ছাড়াই ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ট্রেন। সেজন্য লকডাউনের মধ্যেই জোর কদমে চলছে মহড়া। অটোমেটিক ট্রেন অপারেশন নামে অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তিতে চালক ছাড়াই ছুটতে পারে ট্রেন। মানুষের হস্তক্ষেপ না থাকায় এই প্রযুক্তিতে ট্রেন চালালে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম-এর (সিবিটিসি) আওতায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় চালকের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় উপায়ে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আগেই করা হয়েছিল। দুর্ঘটনা এড়িয়ে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ট্রেন চালাতে ওই পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তাতে ছুটতে থাকা মেট্রোর অবস্থান নির্ণয় থেকে শুরু করে দু’টি ট্রেনের মধ্যে নিরাপদ ব্যবধান রাখার মতো কাজও স্বয়ংক্রিয় উপায়ে করার কথা ভাবা হয়। তার ফলে স্টেশনে ট্রেনের দাঁড়ানো ও ফের চলাও স্বয়ংক্রিয় উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করার কথা।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রের খবর, অটোমেটিক ট্রেন অপারেশন বা স্বয়ংক্রিয় উপায়ে ট্রেন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা চালু করতে যে যন্ত্র প্রয়োজন, তা বেঙ্গালুরুর বিইএমএল-এর (ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড) সরবরাহ করা রেকে আগে থেকেই ছিল। তবে লকডাউনের মধ্যে ওই ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সিগন্যালিং পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন হলেও এই ব্যবস্থা সে সময়ে কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। ফলে মূলত চালকদের উপরেই পরিষেবা নির্ভরশীল ছিল। তবে এ বার নয়া পদ্ধতিতে ট্রেন চালানো সম্ভব হলে প্রতি স্টেশনে দরজা খোলা-বন্ধ করা ছাড়া চালকদের আর তেমন কোনও কাজ থাকবে না।
লকডাউনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত এই মহড়া শুরু করা হয়েছে। এ দিন মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মহড়া সফল হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পূর্ণ করা হবে।’’ বিশ্বের প্রায় সমস্ত বড় শহরের মেট্রো রেলই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তবে কলকাতায় এই প্রযুক্তির ব্যবহার প্রথম। তাই ধাপে ধাপে চলছে পরীক্ষা।