একটা নির্বাচনেও না জেতা মুকুল রায় কি করে হেভিওয়েট হলেন? প্রশ্ন TMC প্রার্থী কৌশানীর

কেন তিন দফায় বিজেপি(BJP) প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হল, কেনই বা সাংসদের ইস্তফা দিয়ে তাঁদের বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হল, এদিন এমন একাধিক প্রশ্ন তোলেন অভিনেত্রী।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

‘মুকুল রায় কোন দিন নির্বাচনে জেতেননি। তাই তাঁকে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে মানতে পারছিনা।’ বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষকে ঠিক এই ভাবেই কটাক্ষ করলেন কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী বন্দ্যোপাধ্যায়।

বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ঘুঁটি সাজানো প্রায় শেষ শাসক ও বিরোধী শিবিরের। তৃণমূলের কৃষ্ণনগর উত্তরের প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে, দীর্ঘ জল্পনার পর বিজেপির তরফে একই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন একদা জোড়াফুলের কাণ্ডারি তথা অধুনা বিজেপির সংগঠক মুকুল রায়। ফলে নির্বাচনী লড়াই হাড্ডাহাডি হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

যদিও, নিজের বিপরীতে মুকুল রায়ের মতো বর্ষীয়ান নেতাকে ‘হেভিওয়েট’ বলতে নারাজ কৌশানী। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী স্পষ্টই বলেন, “প্রথমত, মুকুল রায়কে আমরা হেভিওয়েট নেতা হিসেবে মানি না। এটা আরোপিত। দ্বিতীয়ত, উনি হেভিওয়েট হলে কি আমি লাইট ওয়েট নেত্রী? আমাদের লড়াই সমানে সমানে হবে। ভারতের একমাত্র হেভিওয়েট প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

গেরুয়া শিবিরের (BJP) চাণক্যকে নিশানা করে এদিন কৌশানী আরও বলেন, “গত ২০ বছর আগেই নির্বাচকমণ্ডলির দ্বারা উনি প্রত্যাখ্যাত। কোনও নির্বাচনে মুকুল রায় আজ পর্যন্ত জেতেননি। তাহলে উনি হেভিওয়েট কেন হবেন? ওঁর দল ওঁকে খাতায় কলমে হেভিওয়েট বলতেই পারে তবে আমাদের কাছে উনি কেবল প্রার্থী।” আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল (TMC) তারকা প্রার্থী আরও বলেন, “বাংলায় সরকারি চাকরির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপি হল লটারির টিকিট। ওরকম আসে যায়।”

আরও পড়ুন: বিজেপি অফিসে ভাঙচুর–অগ্নিসংযোগ, নতুন করে প্রার্থী ঘোষণা হতেই তুলকালাম জেলায় জেলায়, নামল র‍্যাফ

কেন তিন দফায় বিজেপি(BJP) প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হল, কেনই বা সাংসদের ইস্তফা দিয়ে তাঁদের বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হল, এদিন এমন একাধিক প্রশ্ন তোলেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি এও দাবি করেন, তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে মুখের অভাব নেই। গেরুয়া শিবিরে বরং মুখের অভাব, তাই বেছে বেছে সাংসদ ও সংগঠকদের প্রার্থী করতে হচ্ছে। যদিও কৌশানী যে হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, সেই মুকুল রায় এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি।

নদিয়ায় মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ১৭টি। তার মধ্যে গত লোকসভা ভোটের (Parliament Election) নিরিখে বিজেপি এগিয়েছিল ১১টি আসনে। তৃণমূল ৬টি আসনে। ফলে সে অর্থে নদিয়া-র জন্য ‘আশাবাদী’ বিজেপি নেতৃত্ব। নদিয়ার হাল ফেরাতে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহুয়াকেই জেলা সভাপতি করেছেন তিনি। মহুয়া চাইছেন, অন্তত ১৩-১৪ আসন যাতে নদিয়া থেকে পাওয়া যায়। এ বার মুকুল আসরে নামায় সরাসরি তাঁর টক্কর হবে মহুয়ার সঙ্গে।

আরও পড়ুন: খোদ প্রার্থীর বাড়িতেই নেই শৌচাগার, মেলেনি আবাস যোজনার পুরো টাকা! প্রশ্নের মুখে বিজেপি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest