TMC has set a strategy to combat Abbas Siddiqui
এবারের ভোটে তৃণমূল ভীষণ সিরিয়াস। কোনও ভুলচুক নয়। কারও প্ররোচনায় পা নয়। সে কারণেই আব্বাস সিদ্দিকির মোকাবিলায় কৌশল চূড়ান্ত করছে বাংলার শাসক তৃণমূল। দলের অন্দরের খবর, আগামী বিধানসভা ভোটে প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি-র মতোই তৃণমূলকে উদ্বেগে রেখেছেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ভাইজান আব্বাস সিদ্দিকি। সূত্রের খবর, ফুরফুরা শরিফের এই পিরজাদার মোকাবিলায় দলের সংখ্যালঘু নেতাদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
আব্বাস ঘোষণা করেছেন, আগামী ২১ জানুয়ারি তিনি নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করবেন। ওইদিনই তিনি মোট ১০টি রাজনৈতিক শক্তিকে একজোট করে নিয়ে একুশের ভোটযুদ্ধের জন্য নিজের ফ্রন্টের বিষয়েও ঘোষণা করবেন। ওই ঘোষণার পরেও আপাতত নীরব রয়েছে তৃণমূল।
তৃণমলের শীর্ষনেতারা জানেন, আব্বাস তাঁদের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ভাগ বসাতে পারেন। বিধানসভা ভোটে ধর্মীয় মেরুকরণ করতে চাইছে বিজেপি। ফলে তৃণমূলের প্রয়োজন গোটা রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটকে তাদের অনুকূলে এককাট্টা করা। কিন্তু আব্বাস তাঁর দল এবং জোট নিয়ে ময়দানে নামলে ওই ভোট অটুট থাকবে কি না, তা নিয়ে খানিকটা সন্দেহ রয়েছে। ফলে আব্বাসকে মোকাবিলা করতেই হবে তৃণমূলকে।
আরও পড়ুন: সকাল থেকে ব্যস্ততা কাটোয়ার কৃষক পরিবারে! বিখ্যাত বেগুনি- সর্ষে ফুলের বড়া, আজ নাড্ডার পাতে আর কী?
ইতিমধ্যেই আব্বাসকে রুখতে রণনীতি সাজাচ্ছে তৃণমূল। মূলত দু’ধরনের কৌশল স্থির হয়েছে আব্বাসকে রুখতে। আব্বাস সংখ্যালঘু মুসলমানদের লক্ষ্য করে ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ হলে প্রথম কৌশলে তাঁকে ঘায়েল করার রাস্তা নেবে তৃণমূল। দ্বিতীয়, আব্বাস ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ অবস্থান নিয়ে দল ঘোষণা করলে সেই জবাব হবে একটু অন্য ধাঁচে।
সম্প্রতি ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলমিন’ (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ফুরফুরা শরিফে এসে বৈঠক করে গিয়েছেন আব্বাসের সঙ্গে। বৈঠকের পর তিনি ঘোষণা করে গিয়েছেন, বাংলায় আব্বাসের সঙ্গে তাল মিলিয়েই চলবে তাঁর দল। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে স্বাভাবিকভাবেই সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে উদ্বেগের অবকাশ তৈরি হয়েছে। আব্বাস, মিমের প্রধান ওয়েইসি বা তাঁদের জোটকে কোনও ভাবেই হাল্কা করে দেখছে না বাংলার শাসকদল।
শোনা যাচ্ছে আবাসকে মোকাবিলা করতে তৃণমূল ময়দানে নামাতে পারেন রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও হাজি নুরুলকে। শনিবার হাজি নুরুল বলেন, ‘‘আগে ওরা দল বা ফ্রন্ট— যা-ই হোক, ঘোষণা করুক। তারপর আমরা ময়দানে নেমে জবাব দেব। এখন কিছু বলছি না।”
কেউ বলছেন দলের বাইরে থেকেও সাহায্য নিতে পারে তৃণমূল। ত্বহা সিদ্দিকী আগেই ভাইপোর বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছেড়েছেন। সুতরাং তাঁকে এই ইস্যুতে যে শাসক দল কাজে লাগাবে, তা নিয়ে অনেকেরই সংশয় নেই। তাছাড়া এমন মোক্ষম সুযোগ ত্বহা নিজেও হাতছাড়া করতে চাইবেন না । মনে করছেন না অনেকে।
আরও পড়ুন: শেয়ার হবে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য! WhatsApp নতুন নীতি আনতেই ভিড় আছড়ে পড়ল Signal অ্যাপে