Site icon The News Nest

হিন্দি দিবসের দিনই ‘হিন্দি সেল’ তৈরি করল তৃণমূল, চেয়ারম্যান হলেন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী

xtmcflag 1546969777 1561888022

২০২১–এ বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে হিন্দি সেলকে নতুন করে গড়ে তুলছে তৃণমূল। এটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ যে ১৪ সেপ্টেম্বর হিন্দি দিবসের দিনই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, নতুন করে গঠিত এই সেলের চেয়ারম্যান করে হয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে। সভাপতি হয়েছেন বিবেক গুপ্ত।

আরও পড়ুন: সূরা প্রেমীদের জন্য বড় খবর! আজ থেকেই রাজ্য জু্ড়ে পুরনো দামে ফিরতে চলেছে মদ

টুইটে হিন্দি দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, রবি ঠাকুরের ‘বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের’ ভাবনা নিয়েই বাংলা বরাবর অন্তর্ভুক্তিকরণের পথে হেঁটেছে। হিন্দি শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং কল্যাণমূলক কাজে তাঁর সরকারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে । এর পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের কাছে টুইটে আর্জি জানান, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-তে বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে হিন্দি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এমন বার্তা নয়া মাত্রা যোগ দেবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ স্পষ্ট। শুধু টুইটেই সীমাবদ্ধ নেই সরকার। দলের তরফেও তত্পরতা দেখা গেল তুঙ্গে।

রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অবাঙালি বাসিন্দাদের উন্নয়নের স্বার্থে এবং বিজেপি–র বিস্তারকে আটকানোর চেষ্টায় গত বছরই হিন্দি সেল গঠন করার নির্দেশ দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহর এবং শহরতলি ছাড়িয়ে গ্রামের আনাচে–কানাচে লাখো হিন্দিভাষী মানুষকে তৃণমূলের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার লক্ষ্যেই এই হিন্দি সেল গঠন করেন সুব্রত বক্সি।

পুনর্গঠিত হিন্দি সেলকে কাজের বিস্তার অনুযায়ী তিনটি স্তরের কাঠামোতে ভাগ করা হয়েছে। রাজ্য স্তরের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি, জেলা স্তরের কমিটি এবং ব্লক স্তরের কমিটিতে এবার থেকে কাজ হবে। লক্ষ্য, বাংলার পাশাপাশি হিন্দিকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া। তবে, বড়বাজার-সহ কলকাতার হিন্দি বলয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে না তৃণমূল। জেলায় জেলায় তৈরি হবে হিন্দি সেল।

এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, ‘‌প্রতিটি ভাষাকে তোড়ায় সাজিয়ে রাখা এক–একটি ফুল হিসেবে দেখেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব ধরনের ভাষাভাষির লোকজনের জন্য পশ্চিমবঙ্গের দরজা খোলা রয়েছে।’‌ সাংসদের অভিযোগ, ‘‌এটা খুবই দুঃখজনক যে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়নি। আশা করি, এর পরের বছর জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাংলা ভাষাতেও দেওয়া হবে।’

কিন্তু হঠাত্ হিন্দি নিয়ে এত হইচই কেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, হিন্দি বলয় মানেই বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক। পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪ বিধানসভা আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৭০ আসনে হিন্দি ভাষার আধিক্য রয়েছে। বিজেপির ১৮টি লোকসভা আসন জেতার পিছনে এই ফরমুলা কাজ করেছে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি। সেখানেই এবার আঘাত হানতে চাইছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: প্রায় ৬ মাস পর চাকা গড়াল কলকাতা মেট্রোর, স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন অফিস যাত্রীরা

 

Exit mobile version