রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সভায় শিবির বদল করলেন তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। এই ঘটনার সঙ্গেই অঙ্কের হিসেবে রাজ্যে তৃণমূল, বিজেপির সাংসদ সংখ্যা সমান হয়ে গেল!
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্য থেকে তৃণমূলের সাংসদ হয়েছিলেন ২২ জন। অন্য দিকে, বিজেপির ১৮ জন জয় পান। গত ১৯ ডিসেম্বর বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। খাতায়-কলমে তৃণমূলের ২২ সাংসদ থাকলেও কার্যত তাদের সাংসদ কমে হয়ে গিয়েছিল ২১। অন্য দিকে বিজেপি বেড়ে ১৯।
এখন শিশির আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় অঙ্কের হিসেবে এখন তৃণমূল এবং বিজেপি সাংসদ সংখ্যা সমান। দু’দলেই রয়েছেন ২০ জন করে। তবে এখানেই শেষ নয়। ঘটনাপ্রবাহ যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে বেশ স্পষ্ট, শিশিরের সাংসদ-পুত্র দিব্যেন্দুও আসতে পারেন বিজেপিতে। ফলে অঙ্কের হিসেবেই তখন তৃণমূলকে টপকে যেতে পারে বিজেপি।
আরও পড়ুন: খোদ প্রার্থীর বাড়িতেই নেই শৌচাগার, মেলেনি আবাস যোজনার পুরো টাকা! প্রশ্নের মুখে বিজেপি
এ দিন পদ্মশিবিরে যোগ দিয়ে শিশির বলেন, “এটা আমার আত্মসম্মানের লড়াই, চিরকাল লড়াই করেছি, আগামী দিনেও লড়ব”। একই সঙ্গে কেন্দ্র এবং রাজ্যে একই রাজনৈতিক দলের সরকার গড়ার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন প্রবীণ সাংসদ। শিশির অধিকারী যে এ দিন অমিত শাহের সভায় যাবেন, নিজেই সেকথা জানিয়েছিলেন৷ এ দিন সকালে কাঁথির শান্তিকুঞ্জের বাড়ি থেকে বেরনোর সময় শিশিরবাবু বলেন, ‘আমরা ফুটপাথের লোক, সংগ্রামের লোক৷ মেদিনীপুরের ইজ্জত বাঁচানোর জন্য লড়ছি৷ মেদিনীপুরের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য লড়ব৷ আমাকে চরম অপদস্থ করা হয়েছে৷ তৃণমূলই আমাকে ধাক্কা মেরে বিজেপি-তে পাঠাল৷ কী করব, বাঁচতে তো হবে, রাজনীতি তো করতে হবে৷’
শিশিরবাবুও এ দিন দাবি করেছেন, বাংলায় ২০০-র বেশি আসনে জয় পাবে বিজেপি৷ প্রবীণ সাংসদের কথায়, ‘মমতায় বন্দ্যোপাধ্যায় যতই বলুন ২৯৪ আসনে উনিই প্রার্থী, বিজেপি দুশোর বেশি আসন পাবে৷’ সাংসদ পদে তিনি ইস্তফা দেবেন কি না, সে বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি শিশির অধিকারী৷ বরং হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘ওরা যা পারে করে নিক৷’
আরও পড়ুন: এক দিনে সাড়ে তিন লক্ষ! দৈনিক টিকাকরণে রেকর্ড গড়ল রাজ্য