শনিবার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের খাসতালুকে বসে গেরুয়া শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সিপিএমের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এই ভারতবর্ষে কৃষকদের যদি কেউ উত্তেজিত করে, আহত করে, সে ক্ষমতায় থাকতে পারে না।’
সৌগত রায় এদিন ব্যারাকপুরের সভা থেকে বলেন, লকডাউনের সময় নরেন্দ্র মোদির ব্যর্থতার জন্য পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। আর তাঁদের জন্য ৫ হাজার টাকা সাহায্য পর্যন্ত মোদি সরকার করেনি। ওরা সময় মতো লকডাউন না করায় করোনা এত বাড়ল।
কেন সময় মতো করেনি? কারণ, ট্রাম্প আমেদাবাদে গিয়েছিলেন। তখন মোদি আর অমিত শাহ দু’জনেই আমেদাবাদে বসেছিল ট্রাম্পকে অভ্যর্থনা দেওয়ার জন্য। আর সে সময় দিল্লিতে দাঙ্গা হচ্ছে আর ভারতবর্ষে সেই সময় করোনা হচ্ছে, তখন ওরা ট্রাম্পকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে। আজ ট্রাম্প হেরে যাওয়ায় মোদির উচিত ছিল কান ধরে ভারতের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া। সেই সৎ সাহস মোদির নেই।
আরও পড়ুন: দেবী শয়নকক্ষে থাকলে দর্শনের অনুমতি নেই, নাড্ডার সর্বমঙ্গলা মন্দির দর্শন নিয়ে জটিলতা
রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে আক্রমণ করে সৌগত বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ এখানে উন্মত্ত ষাড়ের মতো চিৎকার করে বেরাচ্ছে আমরা বিজেপি, আমরা জিতব। আরে তুমি কী জিতবে! তোমার মোদীর বাবা ট্রাম্প তো হেরে গিয়েছে, এর পরের বার মোদীও হারবে। কারণ, আমরা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।’
পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের কৃষক যাঁরা ভারতবর্ষের মোট খাদ্য সংগ্রহের ৮০ শতাংশ চাল–গম দেয়, তাঁরা আজ ৪০ দিনের বেশি অবস্থান করছেন। তাঁদের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘পরশু আমি দিল্লি গিয়েছিলাম। এত ঠান্ডা বাড়ি থেকে বেরনো যায় না। ১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে কৃষকরা খোলা মাঠে বসে আছেন। তাঁরা বলছেন মোদী, নড্ডা কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে আলোচনা এগোবে না। ৮ বার তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। হাত–পায়ে ধরতে বাকি আছে কৃষকদের। কিন্তু কৃষকরা কখনও মাথা নীচু করেনি। তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।’
এই ভারতবর্ষে কৃষকদের যদি কেউ উত্তেজিত করে, আহত করে, সে ক্ষমতায় থাকতে পারে না— এমনই দাবি সৌগত রায়ের। তাঁর কথায়, ‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বুঝেছিল। ও বলেছিল, আমরা ২৩৫, ওরা ৩০, আমাদের আটকায় কে!
আরও পড়ুন: নিখিলহীন জন্মদিন কাটালেন নুসরত, ইনস্টায় একে অপরকে করলেন আনফলো