উত্তর প্রদেশ কিংবা বিহার নয়, খোদ বাংলার বুকে, মুর্শিদাবাদের ডোমকলের রঘুনাথপুর এলাকায়, রবিবার, রীতিমতো দিনের আলোয় তৃণমূলের বুথ সভাপতির নেতৃত্বে বন্দুক উঁচিয়ে দুষ্কৃতী বাহিনী দেদার গুলি চালাল দলেরই সমর্থকদের লক্ষ করে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিনের সংঘর্ষে আনোয়ার সাইদ জনি নামের এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনার জেরে আক্রান্তের পরিবার ডোমকল থানায় ৯ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রবিবার সন্ধ্যায়।
আরও পড়ুন: ‘ভগবানের’ নয়, ‘প্রবঞ্চকের মার’ GST নিয়ে নির্মলাকে একহাত নিলেন অমিত মিত্র
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) পুলিশ সুপার কে সবরী রাজকুমার বলেন, “PWD এর জায়গায় ঘরের ছাউনি দেওয়া নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত। তার জেরেই এক পক্ষ গুলি চালিয়েছে। দু’জন জখম হয়েছেন। এলাকায় পুলিশি তল্লাশি চলছে।” ঘটনার পরই এলাকায় ডোমকলের এসডিপিও ফারুক মহম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনি টহল দিচ্ছে। অভিযুক্তরা পলাতক। জানা গিয়েছে, গুলির পাশাপাশি তুমুল বোমাবাজিও হয়েছে।
জানা গিয়েছে, যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে ঘরের ছাউনি দিচ্ছিলেন জখম আবুল হোসেন ও তাঁর লোকজন। পিছনেই রয়েছে চিন্টু ওরফে রাজ্জাক শেখদের জমি। আবুল হোসেনের কথায়, “জমি নিয়ে একটা সমস্যা ছিল। পরে তা মিটেও গেছে। বিকেলের দিকে বাজারে বসে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরাবুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলছিলাম তখনই বাইরে থেকে গুণ্ডা নিয়ে এসে গুলি চালিয়েছে রাজ্জাক।” অভিযোগ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আসাদুল শেখের নেতৃত্বে ওই গুলি চালানো হয়েছে। এবিষয়ে ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান জাফিকুল ইসলাম জানান, “দু’পক্ষই তৃণমূলের সমর্থক একথা সত্য। কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দুটি পরিবারের ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে ওই সংঘর্ষ। পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: জগদ্দলে ফের শুটআউট! ১৬ বছরের কিশোরকে মাথায় গুলি করে খুন