বহু বছরের খরা কাটিয়ে এ বার সিভিল সার্ভিসের মেধাতালিকায় আবার নাম উজ্জ্বল হল পশ্চিমবঙ্গের।সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় এবার তালিকার প্রথম কুড়িতে জায়গা করে নিলেন বাংলার দুই মেধাবী।গোটা দেশের মধ্যে ১৩ তম স্থান পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছেন কলকাতার কাশী বোস লেনের বাসিন্দা রৌনক আগরওয়াল৷ আর দেশের মধ্যে ২০ তম স্থান পেয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন যাদবপুরের নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় রাজ্যের কৃতীদের ইতিমধ্যেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন : মাঠে হাঁচি-কাশির জন্য প্লেয়ারদের লাল কার্ড দেখাত পারেন রেফারি!
এ বছর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল করেছেন প্রদীপ সিংহ। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী যতীন কিশোর। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন প্রতিভা ভার্মা। মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থানাধিকারী প্রতিভা। কিন্তু সব কিছু ছেড়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে ৬৩১২৯৮০ তম রোল নম্বরের ৪২০ তম স্থানাধিকারী পরীক্ষার্থী। রাহুল মোদীর নাম নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও ওই পরীক্ষার্থীর নাম ও পদবি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, রাহুল গান্ধী ও নরেন্দ্র মোদী-দুজনের নাম নিয়ে যাঁর নাম, তিনি তো সফল হবেনই। যদিও এ বিষয়ে রাহুল মোদীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Congratulations to all successful candidates of the UPSC Civil Services Exam 2019. May you have a bright future in serving the people of our great nation. Those who didn’t qualify, try harder. With determination, you shall succeed.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 4, 2020
বাংলার এই দুই মেধাবী পশ্চিম বাংলায় থেকেই কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন৷ বাংলার প্রথম ছাব্বিশ বছরের রৌনক আগরওয়াল জানান, তিনি বাংলা ভাষায় সাবলীল৷ তাই বাংলা থেকে কাজ করতে তাঁর খুব একটা অসুবিধা হবে না বলে জানিয়েছেন৷
সেন্ট লরেন্স স্কুল থেকে পাশ করে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক হন তিনি। এরপর চলতে থাকে পরীক্ষার প্রস্তুতি। দু বারের চেষ্টার পর তৃতীয় বারে ফলাফলের তালিকায় একেবারে সামনের সারিতে জায়গা করে নেন তিনি।
যাদবপুরের নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনিও পশ্চিমবঙ্গে থেকে কাজ করতে চান৷ তবে ফলাফল প্রকাশ হলেও তিনি কোন ক্যাডারে যুক্ত হবেন, তা এখনও পর্যন্ত জানতে পারেননি৷
আরও পড়ুন : সুশান্ত মৃত্যু : কেন্দ্রের কাছে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ বিহার সরকারের