বহু মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক, বন্ধুর মামিকে ‘বিয়ে’, BJP প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক স্ত্রী

অন্যদিকে আর এক অস্বস্তি। সৌমেন রায়ের পরিচয় নিয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকদের কাছে প্রথম থেকেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এমনকি জেলা সভাপতির কাছেও সৌমেন রায় অচেনা মুখ বলে জানা গেছে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গতকাল বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকে আবার শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে অশান্তি। একদিকে যেমন প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা সত্বেও প্রার্থীরা নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপিতে যাননি এটা যেমন অস্বস্তিকর, ঠিক সেরকমই দলীয় প্রার্থীকে ঘিরে নানান রকম অবৈধ কার্যকলাপের অভিযোগ এবার সামনে এল যা চরম অস্বস্তিকর গেরুয়া শিবিরের পক্ষে। দুর্নীতিসংক্রান্ত বিস্ফোরক অভিযোগ শোনা গেল কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে। প্রার্থী হবার পর কালিয়াগঞ্জে পৌঁছাতে পারেননি সৌমেন রায়, কিন্তু তার আগেই যেভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং তা নিয়ে ধীরে ধীরে কালিয়াগঞ্জ তো বটেই, রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।

দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন প্রাথমিক শিক্ষিকা শর্বরী সিংহরায়। সেই ভিডিওতে জানান যে ফালাকাটা থেকে তাঁর স্বামীকে প্রার্থী করা হতে পারে। তাই আবেদন করেন কোনওভাবেই সোমেনকে যেন প্রার্থী করা না হয়। কারণ হিসেবে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। জানান, ২০০৮ সালে সোমেনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শর্বরী। বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার শুরু হয় তাঁর উপর। ২০১১ সালে কন্যাসন্তান হয় ওই দম্পতির। অভিযোগ, এরপর স্বামীর সঙ্গে একাধিক মহিলার সম্পর্কের কথা জানতে পারেন শর্বরীদেবী। প্রতিবাদ করলেই জুটত মার। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতেন সোমেন। শর্বরী দেবীর কথায়, “চাকরি সূত্রে আমি বাইরে থাকায় কয়েকবছরে সহকর্মী থেকে শুরু করে বহু মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে। প্রতিবাদ করলে বলত, আমি রাজনৈতিক পরিবারের, আমি জানি কীভাবে খুন করে শাস্তি এড়াতে হয়।”

শর্বরীদেবী আরও বলেন, বহুদিন চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলত সোমেন। প্রতিবাদ করায় অত্যাচার বাড়ে। পরবর্তীতে চাকরি না পেয়ে সকলে চাপ সৃষ্টি করতেই তুফানগঞ্জ ছেড়ে ফালাকাটায় থাকতে শুরু করেন সোমেন। সেই সময় ফালাকাটায় বন্ধুর মামির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। পরবর্তীতে বিয়েও করেন তাঁরা। ওই ভিডিওতে শর্বরী সকলের কাছে আবেদন করেছিলেন যাতে কোনওভাবেই সোমেনকে প্রার্থী  করা না হয়।

আরও পড়ুন: WB election 2021: দু’দশক পর ভোটের ময়দানে ‘রায় বাবু’, টিকিট পেলেন রাহুল-শমীক-রুদ্র-পার্নো, দেখুন বিজেপির তালিকা…

যদিও বিজেপির প্রার্থীতালিকা প্রকাশিত হলে জানা যায়, ফালাকাটা নয় কালিয়াগঞ্জ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে সোমেনকে। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল শর্বরীর ভিডিও।নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সোমেন। এবিষয়ে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, “ওই ভিডিওটি প্রায় ৬ বছরের পুরনো।” যদিও সাংসদের এই দাবি মানতে নারাজ ওয়াকিবহল মহল।

অন্যদিকে আর এক অস্বস্তি। সৌমেন রায়ের পরিচয় নিয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকদের কাছে প্রথম থেকেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এমনকি জেলা সভাপতির কাছেও সৌমেন রায় অচেনা মুখ বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা নাগাদ বিজেপির(BJP) প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে দিল্লি থেকে। ওই তালিকায় উত্তর দিনাজপুরের ৯ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে। ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে রায়গঞ্জের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানী, বিজেপির জেলা দপ্তরে এসে জেলা সভাপতির সঙ্গে দেখা করে গেলেও অন্য ৫ প্রার্থী যোগাযোগই কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত যোগাযোগই করেননি জেলা সভাপতির সঙ্গে।

এসবের মধ্যে সবথেকে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল কালিয়াগঞ্জের(Kaliaganj) প্রার্থী কে তা বুঝেই উঠতে পারলেন জেলা না কর্তারা। স্বয়ং জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী প্রার্থী ঘোষণার ২ ঘন্টা পরও বলেন, আমি ঠিক জানি না কালিয়াগঞ্জের প্রার্থী সৌমেন রায় কে?

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে স্বয়ং জেলা সভাপতিই যখন প্রার্থীকে চিনতে পারছেন না তখন সেই প্রার্থীকে নিয়ে দলীয় কর্মীরা ভোট যুদ্ধে লড়বেন কি করে? আর দলীয় প্রার্থী কে সেটা বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কেন জানালেন না জেলা স্তরে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! টেট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত BJP প্রার্থী, কালনায় তৃণমূলের হয়ে প্রচারে গেরুয়া কর্মীরা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest