আগেই মমতা জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির জন্যই রাজ্যে আলু–পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া হচ্ছে। কারণ নয়া কৃষি আইনে আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য থাকছে না আলু–পেঁয়াজ। এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ মমতা তাই মোদী সরকার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি লিখতে চলেছেন।
অমিত শাহের রাজ্য সফরের সময়েই এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন তিনি। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবেন, হয় তাঁরা আলু– পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসুক, না হলে রাজ্যকে অনুমতি দিক তা করার জন্য।
৪০ থেকে ৫০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা।কোথাও তা সেঞ্চুরি করেছে। মুদ্রাস্ফীতির বাজারে আলুসিদ্ধ ভাত খাওয়াও এখন বিলাসিতায় পরিণত হয়েছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব। আর উল্লেখ করব আমাদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হোক আলু–পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য। না হলে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করুন। কারণ দাম প্রচণ্ড বেড়ে গিয়েছে। নতুন আইন রাজ্যের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।’
আরও পড়ুন : গদি হারাচ্ছেন ট্রাম্প, জেল হেফাজতে অর্ণব, মন খারাপ আরএসএস প্রেমীদের
একে দাম বৃদ্ধি তার পরে নতুন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা আইনে তালিকা থেকে বাদ পড়েছে পেঁয়াজ, আলু। এমনকী ভোজ্য তেল, ডালও থাকছে না অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। তাতে আরও দাম বাড়বে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২২ সেপ্টেম্বর লোকসভা অধিবেশনে পাশ হয়ে গিয়েছে এই আইনের সংশোধনী। আজ, শুক্রবার পুলিশ–এনফোর্সমেন্টের চারটি টিম বাজারে হানা দিয়েছে। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিউ মার্কেট, কোলে মার্কেট, পোস্তা, ভবানীপুর, গড়িয়াহাট এবং শ্যামবাজারে হানা দেয় তাঁরা।
যে যত ইচ্ছে আলু–পেঁয়াজ মজুত রেখে জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেবে। যাতে এই আইন কার্যকর করা না হয় তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই গরীব মানুষের কথা চিন্তা করে কম দামে আলু–পেঁয়াজ বিক্রি করছে রাজ্য সরকার। একাধিক শহরে স্টল খুলে সরকারি উদ্যোগে কম দামে চলছে বিক্রি। ২৫ টাকা কিলো দরে আলু বিক্রি করছে রাজ্য সরকার।
মোদী সরকারের কল্যাণে দিন কাটান দায় হয়ে উঠছে।বলতে গেলে গোটা দেশে তারা রাজ করছে। বিজেপি শাসিত এমন একটি রাজ্য নেই যারা বুক ঠুকে বলতে পারে যে বিজেপি এসে তাদের অবস্থা ভাল হয়েছে। যারা একথা বলছে জানবেন হয় তারা বিজেপির আইটি সেল, তা না হলে আরএসএসের লোক। বিভাজন, বিদ্বেষ নিয়ে এরা মজে থাকে।
আরও পড়ুন : জালালউদ্দিন রুমির 30 টি অসাধারণ বাণী বদলে দিতে পারে আপনার জীবন