আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সভা শুভেন্দুর গড়ে। ইতিমধ্যেই দাদা বনাম দিদির পোস্টার–যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে বিপ্লবের মাটিতে। তবে এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু একটি কথাও বলেননি। কিন্তু আগামী দিনে তিনি কী করবেন, তা নিয়ে দোটানায় তাঁর অনুগামীরা। এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শনিবার রাতে ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে নিয়ে নিজের গড় নন্দীগ্রামে বৈঠক করলেন। সূত্রের খবর, ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুভেন্দু অধিকারী পরবর্তী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: আজ মেদিনীপুরে মমতার ‘ঐতিহাসিক’ সভা, কি বার্তা দেন তাকিয়ে সব মহল
জানা গিয়েছে, শনিবার সেই বিষয় নিয়ে নিজের কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। কেন এই মাঝামাঝি সময়? সূত্রের খবর, ততদিনে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়ে যাবে। তাই এই মাসের মাঝামাঝি সময়কে বেছে নেওয়া হয়েছে। এমনকী তাই গতকাল রবিবার যে সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা ছিল তা বাতিল করা হয়। এখন তিনি দেখে নিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গড়ে এসে কি বার্তা দেন। তারপর তিনি যা বলার বলবেন।
ইতিমধ্যেই পুরুলিয়ায় ‘দাদার অনুগামী’রা লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে পৃথক কার্যালয় খুলেছেন! সেখানে হাজির জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, পুরসভার কাউন্সিলর–সহ অনেকে। পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু–অনুগামী ব্লক সভাপতিদের দলীয় পদ থেকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই রাতেই হরিপুরে এক সভাঘরে ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শুভেন্দু।
নন্দীগ্রাম–১ ব্লক তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে সদ্য অপসারিত মেঘনাদ পাল, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শেখ খুশনবি–সহ কয়েকজন সাংগঠনিক পদাধিকারী। এইসব আস্থাভাজনদের ভবিষ্যতে পাশে চেয়েছেন শুভেন্দু। সেখানেই উপস্থিত স্থানীয় নেতারা ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে শুভেন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট হওয়ার বার্তা পেয়েছেন। মেঘনাদের বক্তব্য, ‘শুভেন্দুবাবু বিধায়ক হিসেবে এলাকার মানুষের খোঁজ-খবর নিতে এসেছিলেন।’
আরও পড়ুন: কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে মোদীকে চিঠি অধীরের