নিখিলকে কি মোদীর বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি? জেনে নিন নুসরতের প্রতিক্রিয়া

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বসিরহাট: অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার প্রার্থী হিসেবে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েই জয়ী হয়েছিলেন। নিজের এলাকায় সাংসদ হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে এলেও তাঁর সঙ্গে বৈঠক হল না সাংসদের। বসিরহাট কলেজে পৌঁছেও ‘অভিমান’ করে ফিরে এলেন তিনি।

জানা গিয়েছে, এদিন হেলিকপ্টারে দীর্ঘ একঘণ্টার সফরে আমফান বিধ্বস্ত বাংলা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। হেলিকপ্টারে তাঁর সফর সঙ্গী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও (Jagdeep Dhankar)। বিধ্বংসী আমফানে ঠিক কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত দুই ২৪ পরগনা, তা নিজের চোখেই দেখেন মোদি। এরপর বসিরহাট কলেজ লাগোয়া পিছনের মাঠে তৈরি অস্থায়ী একটি হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছিল। সেখানেই এক চপার থেকে নামেন মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল-প্রধানমন্ত্রী। মোদিকে স্বাগত জানাতে হাজির হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরি-সহ বিজেপি নেতৃত্ব।

বসিরহাট কলেজেই এরপর বৈঠকে বসেন তাঁরা। সেই সময় কলেজে যান সাংসদ নুসরতও। তবে তিনি একা নন, সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী নিখিল জৈন এবং দুই আপ্তসহায়ক। কলেজে ঢোকার মুখে নুসরতকে প্রথমে বাধা দেওয়া হয়। তবে তিনি নিজের সাংসদ পরিচয় দেওয়ার পর প্রবেশের অনুমতি পান বলে জানা যায়। তাঁর সঙ্গে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন নিখিলও। কিন্তু নুসরতের স্বামী ও দুই আপ্তসহায়ককে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এসপিজির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ভিতরে প্রশাসনিক বৈঠক হচ্ছে। কোনও রাজনৈতিক দলের বৈঠক নয়। তাই সাংসদ অন্য কাউকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন না। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি নুসরত। সেখানেই বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু শেষমেশ নিখিলকে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় তিনি নিজেও সেখান থেকে বেরিয়ে যান। নিজের কেন্দ্রে মোদি আসলেও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ায় একপ্রকার অভিমান করেই চলে যান অভিনেত্রী। পরে অবশ্য আর ফেরেননি।

তাঁকে যখন এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়, তখন তার কোনও সোজা জবাব দেননি নুসরত। তিনি বলেন মানুষের সঙ্গে তিনি দেখা করতে এসেছেন তাঁর কেন্দ্রে। শেল্টার হোমে গিয়ে কথা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে মূলত মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা ছিল ও তিনি সেখানে দলের লোকদের সঙ্গে সেখানে ছিলেন বলে জানিয়েছেন নুসরত। তিনি আগামী সপ্তাহে ফের আসবেন এই কথা জানিয়ে বসিরহাটের মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি। 

ঘূর্ণিঝড় আমফানে দারুণ ক্ষতিগ্রস্থ বসিরহাট। এখনও পর্যন্ত সেখানে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলার বিধ্বস্ত মানুষগুলির পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করেছিলেন নুসরত। লিখেছিলেন, “এই সময় সকলকে পরস্পরের পাশে থাকতে হবে। সকলে মিলে প্রার্থনা করতে হবে, যাতে দ্রুত এই বিপর্যয় কেটে যায়।”

Gmail 2

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest