পার্থ, মনোজ, রাজীব, লকেট, সুজন, দীপ্সিতা, শ্রাবন্তী, লাভলি – দেখুন চতুর্থ দফার তারকা প্রার্থীদের

গত ৩ দফার তুলনায় চতুর্থ দফায় নজরে থাকা প্রার্থীর সংখ্যা একটু বেশিই।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচনে ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ আগামী ১০ এপ্রিল, শনিবার। ওই ৪৪ আসনের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১১, হাওড়ায় ৯, হুগলিতে ১০, কোচবিহারে ৯ এবং আলিপুরদুয়ারের ৫টি আসন রয়েছে। বাংলায় প্রথম দফায় ৩০, দ্বিতীয় দফায় ৩০ এবং তৃতীয় দফায় ৩১ আসনে ভোট হয়েছে। তবে গত ৩ দফার তুলনায় চতুর্থ দফায় নজরে থাকা প্রার্থীর সংখ্যা একটু বেশিই।

চতুর্থ দফায় এক দিকে যেমন অভিনয় জগৎ থেকে রাজনীতির ময়দানে খেলতে নামা প্রার্থীরা রয়েছেন, অন্য দিকে তেমনই পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদরাও লড়াই করছেন। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস – সব দলেরই একাধিক হেভিওয়েটদের ভাগ্যপরীক্ষা হতে চলেছে। দেখে নিন হেভিওয়েট প্রার্থীদের তালিকা –

অরূপ বিশ্বাস ও বাবুল সুপ্রিয়: টালিগঞ্জে তৃণমূল ও বিজেপি— দু’দলের প্রার্থীই হেভিওয়েট। এক দিকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা টালিগঞ্জের বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক অরূপ, অন্য দিকে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল।

রত্না চট্টোপাধ্যায় ও পায়েল সরকার: বেহালা পূর্বেও এ বার জোর লড়াই। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় এ বার তৃণমূল প্রার্থী করেছে তাঁর স্ত্রী রত্নাকে। অন্য দিকে, বিজেপি ঝঙ্কার তুলতে চেয়েছে টলিউডের পায়েলকে প্রার্থী করে।

রত্না চট্টোপাধ্যায় ও পায়েল সরকার: বেহালা পূর্বেও এ বার জোর লড়াই। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় এ বার তৃণমূল প্রার্থী করেছে তাঁর স্ত্রী রত্নাকে। অন্য দিকে, বিজেপি ঝঙ্কার তুলতে চেয়েছে টলিউডের পায়েলকে প্রার্থী করে।

আরও পড়ুন: ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চাওয়ার অভিযোগ, মমতাকে নোটিস নির্বাচন কমিশনের

সর্বত্র যে দুই প্রার্থীই নামজাদা, তেমনটা নয়। যেমন হাওড়ার শিবপুর। গত বছর পর্যন্ত ক্রিকেট ব্যাট হাতে দেখা যেত যে মনোজ তিওয়ারিকে (বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক), এ বার কিন্তু তাঁকে হাতে জোড়াফুল নিয়ে ভোটে লড়তে দেখা যাচ্ছে। একই রকম ভাবে বাংলা তথা ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবল তারকা বিদেশ বসু এই দফায় হাওড়ার উলুবেড়িয়া পূর্বে জোড়াফুলের ভোটপ্রার্থী।

সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেন রাজনীতিতে অনেক দিনই। চন্দননগরের বিদায়ী বিধায়ক এ বারও সেখান থেকে তৃণমূলের প্রার্থী। রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই বিজেপি-র রাজ্য নেতা দীপাঞ্জন গুহর। হুগলিরই উত্তরপাড়ায় এ বার তৃণমূল প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক। বাংলার পরিচিত কমেডিয়ান এ বার ‘সিরিয়াস’ ভূমিকায়।

রাজ্য রাজনীতিতে খ্যাতি রয়েছে এমন আরও কয়েক জন প্রার্থীর দিকে নজর থাকবে চতুর্থ দফার ভোটে। এর মধ্যে যেমন আছেন সিঙ্গুরের বেচারাম মান্না, তেমনই রয়েছেন বালিতে বৈশালী ডালমিয়া। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন থেকেই তৃণমূলের টিকিটে জেতা বৈশালী এ বার পদ্ম-প্রার্থী। চুঁচুড়ায় নজর থাকবে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপরে। রুপোলি পর্দার নায়িকা নন, হুগলির সাংসদ লকেট এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিক। এ বার নীলবাড়ির লড়াইয়ে তিনিও প্রার্থী।

রাজনীতিক হিসেবে আরও দুই ওজনদার প্রার্থী আছেন চতুর্থ দফায়। আব্দুল মান্নান এবং সুজন চক্রবর্তী। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মান্নান লড়ছেন হুগলির চাঁপদানি থেকে আর সুজনের লড়াই যাদবপুরে। ২০১৬ সালে এই দুই আসন থেকেই জয় পেয়েছিলেন মান্নান-সুজন। এ ছাড়াও নজরে থাকবে হাওড়ার ডোমজুড়। সেখানে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

এছাড়াও আছেন-

জাভেদ খান – কসবা, তৃণমূল কংগ্রেস।

রত্না দে নাগ – পান্ডুয়া, তৃণমূল কংগ্রেস।

নিশীথ প্রামাণিক – দিনহাটা, বিজেপি।

দীপ্সিতা ধর – বালি, সিপিআইএম।

দেবদূত ঘোষ – টালিগঞ্জ, সিপিআইএম।

শতরূপ ঘোষ – কসবা, সিপিআইএম।

আরও পড়ুন: বিনা অনুমতিতে রোড শো, শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু পুলিশের

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest