বিজেপি-তৃণমূলকে (BJP-TMC) একযোগে বিঁধতে জনপ্রিয় লোকসংগীতের আদলে প্রচারগান তৈরি করেছিল সিপিএম (CPM)। তারপর হালফিলের ‘টুম্পা সোনা’, ‘লুঙ্গি ডান্স’-এর মতো অতি জনপ্রিয় গানকে ভিত্তি করে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বার্তাবাহী প্যারোডি রচনা করে ফেলেছিলেন বামপন্থী গীতিকার, সুরকাররা। এবার বামপন্থীরা তৈরি করে ফেললেন আরও এক প্রচার সংগীত – উষা উত্থুপের বহু পরিচিত ‘উরি উরি বাবা’ গানের প্যরোডি। তাতেও আক্রমণের নিশানায় – ‘বিজেমূল’। মহিলাদের গাওয়া সমবেত সংগীতটি ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। বামপন্থী (Left) কর্মী, সমর্থকদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই গান।
এই প্যারোডিতেও একই ভাবে ব্যঙ্গ এবং আক্রমণ করা হয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূলকে। এই দুই দলকে মিশিয়ে দিয়ে আবার ‘বিজেমূল’ বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে। দু’টো দলের মধ্যে যে কোনও ফারাক নেই সে কথা বোঝাতেই এই শব্দবন্ধ কটাক্ষচ্ছলে ব্যবহার করেছে বামেরা। একই ভাবে এই প্যারোডিতে নারদ ঘুষ কাণ্ডের প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। পাশাপাশি কয়লা কাণ্ড, কোকেন কাণ্ড নিয়েও দুই দলকে রীতিমতো ব্যঙ্গবাণে বিদ্ধ করেছে তারা।
নতুন এই প্যারোডিতে উঠে এসেছে দল বদলের প্রসঙ্গও। বহু নেতা সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। কেন এই দল বদল, তা যে ভাল ভাবেই বোঝা যাচ্ছে সেটাও বলা হয়েছে এই প্যারোডিতে। পাশাপাশি মদন মিত্র-মুকুল রায়ের মধ্যে ‘সেটিং’-এর মতো মারাত্মক অভিযোগও উঠে এসেছে গানে গানে।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে ছন্নছাড়া বিজেপিকে চাঙ্গা করতে বাঁকুড়া ও এগরায় মোদী-শাহ
এর আগে ‘টুম্পা সোনা’, ‘লুঙ্গি ডান্স’-এর সুরে প্রচারগান বাঁধা, ‘হল্লা গাড়ি’তে চড়ে রাস্তায় রাস্তায় নেমে প্রচারে চমক লাগিয়েছে বামেদের যুব নেতৃত্ব। একুশের ভোটে বামেদের প্রচারে এই আমূল বদল দেখে চমকে যাচ্ছেন অনেকেই। বিশেষত প্রায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পক্ককেশের সিপিএম নেতা, কর্মীরা নবপ্রজন্মের মন বুঝে যেভাবে লড়াইয়ে ফিরে আসতে চাইছে, তাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টারে যেমন ক্ষুরধার মেধার ছাপ রেখে যাচ্ছেন বামমনস্ক শিল্পীরা, তেমনই সাধারণ মানুষের বোধগম্য করে তুলতে আক্রমণের তির ছোড়া হচ্ছে সরাসরিই।
শুনুন নতুন প্যারোডি গান:
আরও পড়ুন: ৫ টাকায় চিনি, ৩ টাকায় নুন, এক নজরে দেখুন বিজেপির ‘কল্পতরু’ ইস্তাহার