বাঁকুড়ার কোতুলপুর, ইন্দাস ও বড়জোড়ায় মোট তিনটি জনসভা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে বিজেপিকে প্রাণ থাকতে জায়গা দেবেন না তিনি। জনগনের উদ্দেশে বাঁকুড়ার প্রচারে মমতা বলেন, কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না, বিজেপি দাঙ্গা করার চেষ্টা করবে।
ওরা যে পরিস্থিতি তৈরী করেছে তাতে, আপনি ব্যাঙ্কে টাকা রাখবেন, টাকা পাবেন না। লকডাউনের সময় আমি সবাইকে নিয়ে এসেছিলাম ট্রেন ভাড়া করে। আসানসোলের কয়লা মাফিয়ে ওদের প্রার্থী। টাকা দিয়ে ভোট দেবেন না। তিরিশটা করে ভোট গোনার পর একবার করে ভোটের মেশিন অন-অফ করবেন। ভোটের মেশিন খারাপ হলেও ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন। আমি এনপিআর করতে দেব না। একটি লোককেও ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিতে দেবো না।
কংগ্রেস বিজেপি-র সঙ্গে ডিল করেছে। ওদের ডিলটাকে খিল করে দিন। বাইরে থেকে বর্গী আসছে। বর্গী ও বহিরাগত গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে মা বোনেরা জোট বাঁধুন। ওরা ভেবেছিল আমি পায়ে চোট পেলে আর বাইরে আসব না। আমার নিঃশ্বাস যতক্ষণ চলবে, ততক্ষণ এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না। মা বোনেদের জীবন বাঁচানোর লড়াই এই লড়াই। মনে রাখবেন, আমি ভাঙি তবু মচকাই না। আমি বাইরে থাকলে এক পা দিয়ে এমন শট মারব, মাঠের বাইরে করে দেবো। আমি মা বোনেদের পা দিয়ে হাঁটি।
আরও পড়ুন : গদ্দারের বাপ গদ্দারই হয় শুভেন্দু-শিশিরকে কটাক্ষ তৃণমূলের
আমরা ৫০ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ দিয়েছি পঞ্চায়েতে, ওরা ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দিচ্ছে। আপনারা ভোট দিন, না হলে বিজেপি এনপিআর দেখাবে। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ওরা টুকলি করে। পরিবর্তন বাংলায় হবে না, পরিবর্তন দিল্লিতে হবে। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের হারাতে হবে। সব কেড়ে নিয়েছে ওরা। বিজেপি-কে চাই না। এখন ৭ দিনে জাতি সংশাপত্র পাওয়া যায়।
কতগুলো গুণ্ডা নিয়ে এসেছে, বহিরাগত গুণ্ডা নিয়ে এসেছে। বাংলা শিখে এসেছে। কেউ কেউ বলছে, মারাং বুরুর পুজো করবে না, আমার পুজো করো। এতবছর রেল দফতরে আছে, একটাও ট্রেন বাঁকুড়াকে দিয়েছে? আমি অনেকগুলি কাজ করে দিয়েছি।
আগে রাস্তার কী অবস্থা ছিল, কোনও কাজ হত না। এখন ১২১৮ কোটি টাকা দিয়ে বাঁকুড়াতে বৃহৎ জল সরবরাহ প্রকল্প। বাঁকুড়াতে ৫৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে জল প্রকল্পের ব্যবস্থা। জয়রামবাটি-কামারপুকুরের রাস্তা তৈরি হয়েছে। রাস্তা হবে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের যোগাযোগে। হাঁসপালন, মুরগি পালন করুন, স্বনির্ভর দল তৈরি হবে, ঋণ দেওয়া হবে ব্যাঙ্ক থেকে।
কোতলপুরে কোতল করা ছাড়া আর কী করতেন? সেই জয়পুর আজ বদলে গিয়েছে, রেল লাইন তৈরি হয়ে গেলে সব বদলে যাবে। ৭২ হাজার কোটি টাকার শিল্প হবে। বাঁকুড়া তীর্থভূমি। পরীক্ষার ফল বেরোলেই দেখা যায়, এখানকার পড়ুয়ারা ভাল ফল করেছে। এখানে তাই বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল আছে, পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড হবে, মাত্র ৪ শতাংশ সূদে। আলু সহায়ক মূল্য দিয়ে আলু কিনি।
আমাদের গদ্দাররা, যারা বিজেপি-র ওস্তাদ হয়েছে, তাঁরা কী অত্যাচার করত, মনে রাখবেন। আমাকে পুলিশ ঢুকতে দিচ্ছিল না। এক পা এক পা করে ঢুকেছিলাম। সালাম নামে একজনের বাড়িতে গিয়েছিলাম, বিক্রমপুরের গ্রামে। বিক্রমপুরের সেই অত্যাচার কোনওদিন ভুলব না। গোপীনাথপুরের অত্যাচারের কথা ভুলে যাইনি। চমকাইতলায় সভা করতে এসেছিলাম। ছোট্ট সার্কিট হাউজে ছিলাম। অজিত পাঁজাকে আটকে দিয়েছিল, বাস ভাঙচুর করেছিল, বাসে গুলি চালাচ্ছিল, সেই অবস্থায় মানুষদের উদ্ধার করে নিয়ে এসেছিলাম।
আরও পড়ুন : ‘কেন ২০টি সন্তানের জন্ম দাওনি’,ফের বিতর্কে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তীরথ