‘এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেলাম না’, মোদীর ‘সৌজন্যে’ নিয়ে প্রশ্ন মমতার

সূত্রের খবর কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গেও ফোনে কথা মমতার৷
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ফলাফল পরিষ্কার হওয়ার পর পরই রবিবার রাতেই ট্যুইট করে বাংলা জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই ট্যুইটকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বরং তিনি প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যবোধ নিয়েই কার্যত প্রশ্ন তুলে বললেন, ‘এই প্রথম দেখলাম প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন না৷’

রবিবারের ফলপ্রকাশের পর অনেকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁকে। ব্যক্তিগত ভাবে ফোন করেছেন দিল্লি, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। তবে একটা ফোন যে আসেনি, তা খেয়াল করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করেননি তাঁকে। সোমবার ভোটের সম্পূর্ণ ফল প্রকাশের পর সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান মমতা। ভোটে জয়ী রাজ্যের ভাবী মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো প্রধানমন্ত্রীর তরফে রাজনৈতিক সৌজন্য। বিশেষত যখন ভোটের প্রচারে একাধিক বার এসেছেন রাজ্যে তিনি।

কালীঘাটে ওই সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘এই প্রথম দেখলাম কোনও প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন না। আমি অবাক হয়েছি।’’ মমতার মুখে এ কথা শুনে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘প্রধামন্ত্রী ফোন করেননি আপনাকে?’’ মমতার জবাব, ‘‘না উনি আমাকে ফোন করেননি। হয়তো ব্যস্ত ছিলেন।’’ এরপরই তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্য, ‘‘অবশ্য আমি কিছু মনে করিনি। জাতীয় স্বার্থে এবং রাজ্যের স্বার্থে আমাদের যেখানে একসঙ্গে কাজ করার কথা সেখানে সহযোগিতা থাকলেই হল।’’

আরও পড়ুন: বাংলায় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ, কঙ্গনার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশে দায়ের অভিযোগ

ফোন না করলেও অবশ্য মমতা এবং তৃণমূলকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সরাসরি বার্তালাপ এড়ালেও নেট মাধ্যমে অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন। অবশ্য তেমন শুভেচ্ছা আরও অনেকেই জানিয়েছেন মমতাকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও। তবে সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা অবশ্য বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন তাঁদের কথা, যাঁরা তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যেমন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং পাঞ্জাবের অমরিন্দর সিংহের কথা। অখিলেশ যাদবও যে তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তা বলেছেন মমতা। আর বলেছেন তাঁর কথা, যিনি ফোন করেননি।

সূত্রের খবর কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গেও ফোনে কথা মমতার৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজেও জানিয়েছেন, করোনা সমস্যা মিটলে ব্রিগেড ময়দানে বিজয় সমাবেশ করবে তৃণমূল৷ সেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজনৈতিক নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে৷ কারণ মমতার বিজেপি-কে রুখে দেওয়ায় ফের একবার গোটা দেশে তাঁকে কেন্দ্র করে বিরোধী শক্তির একজোট হওয়ার জোরাল হাওয়া তৈরি হয়েছে৷ যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনই এসব নিয়ে ভাবতে নারাজ৷ তাঁর প্রথম অগ্রাধিকার যে কোনও ভাবে করোনা পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়া৷

আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রিপোর্ট তলব শাহের মন্ত্রকের

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest