হিংসায় শেষ হল ষষ্ঠ দফা ভোট, চলল গুলি, মানল কমিশন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ষষ্ঠীর ভোটও হিংসা মুক্ত হল না। সেই অর্থে কার্যত ব্যর্থ কমিশন। এদিন গুলি চালানোর অভিযোগ মিলেছে। হিংসা হয়েছে ভোট জুড়ে। তবে প্রানহানি হয়নি। কোচবিহারের শীতলকুচির পর ষষ্ঠ দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ফের গুলি চালাল। শীতালকুচির কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছিলেন।প্রত্যেকেই ছিলেন মুসলিম।

এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী পায়ে গুলি করায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন কবিরুল। জানা গিয়েছে, অশোকনগরের ট্যাংরা আদর্শ শিক্ষানিকেতন বিদ্যালয়ের বুথের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে দুই তৃণমূল সমর্থক জখম হয়েছেন। তৃণমূল সূত্র জানিয়েছে, অশোকনগরের ৭৯ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে আহত কবিরুল তৃণমূল সমর্থক। কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। নদীয়ায় ৮২. ৬৭ , পূর্ব বর্ধমান ৮২.১৫ , উত্তর ২৪ পরগনা ৭৫.৯৪ এবং উত্তর দিনাজপুরে ৭৭.৭৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

আরও পড়ুন: জাতীয় জরুরি অবস্থা’, কোভিড নিয়ে কেন্দ্রকে শীর্ষ কোর্টের ‘কড়া’ নোটিশ

ভোট চলাকালীন গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভার ৩৫ নম্বর বুথে। ওই ঘটনায় ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ।বাগদা বিধানসভার ৩৫ নম্বর বুথের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরার দাবি, বাড়ি ফেরার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, গ্রামে পুলিশি অভিযান চলছে। পুলিশের গাড়িতে কয়েক জন যুবকও রয়েছে। অভিযান চলাকালীন পুলিশকে তেড়ে যেতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, কয়েক বার গুলি চালানোর মতো আওয়াজও শোনা গিয়েছে ওই ভিডিয়োয়। যদিও তা যাচাই করেনি দা নিউজ নেস্ট।

তিনি বলেন, ‘বাজার থেকে তেমাথা হয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। আচমকা হাতে গুলি লাগে। পুলিশ চালিয়েছে। কেন চালিয়েছে জানি না। ওখানে মারপিট হচ্ছিল কি না তাও জানি না।’’ মৃত্যুঞ্জের স্ত্রী বলেন, ‘‘গন্ডগোল হচ্ছিল। সে সময় গুলি লেগেছে।’এ বিষয়টি নিয়ে বাগদা থানার ওসি উৎপল সাহাকে ফোন করা হয়। তাঁর ফোন অন্য এক পুলিশ কর্মী ধরেন। তিনি বলেন, ‘বড়বাবু এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। উনি আহত। ওঁর চিকিৎসা চলছে।’

অশোকনগর এবং আমডাঙা বিধানসভার সীমানা এলাকা টাংরা, বালিশায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অশান্তি ঠেকাতে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে গুলি চালানোর যে অভিযোগ উঠেছে তা-ও খারিজ করে দিয়েছে কমিশন।

ব্যারাকপুরের লালকুঠি এলাকায় পৌঁছতেই রাজ চক্রবর্তীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। রাজ ঠান্ডা মাথাতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করেন। কেতুগ্রামের রাজুড়ে ১০০ নং বুথে এজেন্ট বসা নিয়ে ঝামেলা একজন বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটল। বোমাবাজি এলাকায়। টিএমসি-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তেজনা।

গলসি বিধানসভার মনোহর সুজাপুর গ্রামে বোমাবাজি। গ্রামের ২১৩, ২১৪ বুথে বিজেপি সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির। চঞ্চল দাস বৈরাগ্য নামে এক বিজেপি সমর্থককে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাকে পুরশা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপির দাবি তাদের এজেন্টদের আটকাতেই ভোর থেকে বোমাবাজি করছে শাসকদল।

আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণে বিশ্ব রেকর্ড ভারতের, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩ লক্ষের বেশি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest