ভোটের আগে দলে দলে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই দলবদলুদের বিশ্বাস করেননি বাংলার মানুষ। গোবলয়ের রাজনীতি আর বাংলার রাজনীতি যে আলাদা তা যেমন মোদী বোঝেননি, তেমনি দুধে সোনার হাদিস পাওয়া দিলীপ ও বোঝেননি।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে অধিকাংশ দলবদলুকেই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। তবে বিপুল সাফল্য পাওয়ার পরও দলত্যাগীদের প্রতি উদারতা দেখালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন ফিরতে চাইলে সকলকেই দলে স্বাগত জানাবেন তিনি।
আরও পড়ুন :ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রিপোর্ট তলব শাহের মন্ত্রকের
রবিবার ভোটের ফলাফলে তৃণমূলের ধারেকাছেও নেই বিজেপি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন যে ‘ওজনদার’ নেতারা, তাঁদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী, হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং নিশীথ প্রামাণিককে বাদ দিলে কেউই জয়ী হতে পারেননি। বিরাট ব্যবধানে হেরেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, বৈশালী ডালমিয়ারা।
ভোটে বিজেপি-র পরাজয়ের পর তাই তাঁদের তৃণমূলে ফিরে আসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে কালীঘাটে যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা, সেখানে ‘দলবদলুদের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করলে মমতা বলেন, ‘আসুক না। কে বারণ করেছে! এলে স্বাগত।’
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া কেউ এখনও প্রকাশ্যে জোড়াফুলে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। তবে সেই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল ছেড়ে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা অত্যাচারিত এবং অপমানিত হয়ে এসেছিলেন। মনে হয় না তাঁদের কেউ ফিরে যাবেন।’
যাঁদের লাগাতার ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘গদ্দার’ এবং ‘আপদ’ বলে তৃণমূল নেত্রী আক্রমণ করেছেন তাঁদের আদৌ কি তিনি স্বাগত জানাবেন ? বিশেষ করে এমন সুনামি জয়লাভের পর। নেহাত সৌজন্যবশতই তিনি ওই কথা বলে থাকতে পারেন বলেও মনে করছেন অনেকে। আবার অনেকে বলছেন মনে রাখবেন, উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সব পারেন। রাজনীতির সঙ্গে মানবতার এমন সমানুপাতই তাঁকে অনন্য করেছে।
আরও পড়ুন : ‘এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেলাম না’, মোদীর ‘সৌজন্যে’ নিয়ে প্রশ্ন মমতার