হাইভোল্টেজ ভোটে প্রার্থী নন দিলীপ, প্রচারে খাটার নির্দেশ দিলেন শাহ-মোদী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় থেকে সাংসদ লকটে চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যসভার সাসংদ স্বপন দাশগুপ্ত থেকে সদ্য দলে যোগ দেওয়া অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী সকলেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী। সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কেও প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলেছে বিজেপি। কিন্তু সেই তালিকায় নেই দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

বৃহস্পতিবার দিলীপ নিজেই সেই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি প্রার্থী হচ্ছি না। বৃহস্পতিবারই বাকি থাকা আসনের বেশির ভাগের প্রার্থিতালিকা প্রকাশিত হবে। তবে তাতে আমার নাম থাকছে না। রাজ্য সভাপতি হিসেবে দল আমায় গোটা রাজ্যে প্রচারে নেতৃত্ব দিতে বলেছে। সবাই প্রার্থী হবেন। আর আমি সকলকে জেতানোর দায়িত্বে।’’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে খড়্গপুর সদর থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন দিলীপ। এর পরে সেই পদ ছেড়ে ২০১৯ সালে মেদিনীপুর থেকে সাংসদ হয়ে লোকসভায় গিয়েছেন। দিলীপকেও প্রার্থী করা হতে পারে বলে জল্পনা ছিল বিজেপি-র অন্দরে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় নেতারাও চেয়েছিলেন তিনি প্রার্থী হন। কিন্তু বুধবার রাত পর্যন্ত আলোচনায় সেই সিদ্ধান্ত বদলানো হয়েছে। ঠিক হয়েছে, দিলীপ সারা বাংলা ঘুরে প্রচার করবেন।

আরও পড়ুন: মার্ক টোয়েনের হৃদয়স্পর্শী বাণী, যা বদলে দেবে আপনার জীবনও

সেই প্রচারের জন্য দিলীপের জন্য বিজেপি একটি বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থাও করেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সকালেই সেই গাড়ির সওয়ার হয়েছেন দিলীপ। ভোর রাতে দিল্লি থেকে ফেরার পরে সকালে নিজেই নিজের সেই প্রচার গাড়ির সূচনা করে দিলীপ রওনা দেন হুগলির আরামবাগের উদ্দেশে। সেখান থেকে হুগলিরই চণ্ডীতলায় যাবে দিলীপ-শকট। সেখানে বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত।

বিজেপি প্রার্থী নিয়ে কেলোর কীর্তি হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। তৃণমূল ফেরত হলেই বিজেপিতে টিকিট। দলের হয়ে খাটলে টিকিট মিলবে না। সেই অর্থে আজকে যারা বিজেপিতে দাপট দেখাচ্ছে তাদের প্রায় সবার ট্রেনিং হয়েছে দিদিমণির ক্যাম্পে। দিদিমনি না চেনালে এই নেতাদের বেশিরভাগকেই কেউ চিনত না। বিজেপি তাদের সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা করেনি। ফলে যে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীরা প্রচার করেছিল, এখন তাদের অনেকের হয়ে তাদের প্রচার করতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। দল ফেরত নেতারা না হয় নেপো হয়ে সব দই মেরে দেবে। তাদের কর্মীদের কি। তাদের দিয়ে কেবল বিদ্বেষ ছড়ানো হবে। এটা বিজেপির কর্মীরা অনেকেই ভালো চোখে দেখছে না।

আরও পড়ুন: কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ২০ হৃদয় ছোঁয়া উক্তি…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest