‘মাননীয়া মায়ের মতো, চিরঋণী থাকব’, ইস্তফার পর মুখ্যমন্ত্রীর ছবি নিয়ে বিধানসভা থেকে বেরোলেন রাজীব, ফের কাঁদলেন ক্যামেরার সামনে

তাহলে কি শেষ পর্যন্ত পদ্মফুলেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? তৃণমূলের প্রাক্তন শুভেন্দু অধিকারীর মতোই রাজীবের কৌশলী ইঙ্গিত, ‘অপেক্ষা করুন, সব জানতে পারবেন। নিজেই সব জানাব।’
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শনিবার তিন দিনের সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। পদত্যাগ করলেন বিধায়ক পদ থেকে। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Biman Banerjee) সামনে ইস্তফা পত্র লিখে জমা দিয়ে এলেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী। ফেসবুকেও জানালেন নিজের পদত্যাগ করার কথা।

ঠিক আটদিন আগে মন্ত্রিত্ব-ত্যাগের পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজীব। রাজভবন থেকে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তবে আজ  বিধানসভায় ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে ফের একবার চোখে জল এল তাঁর। । গত ১০ বছরে তাঁকে সুযোগ দেওয়ার জন্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

এদিন নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে এসে বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অধ্যক্ষ (বিমান বন্দ্যোপাধ্যয়) তাঁকে কিছু প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্নের উত্তর তিনি দিয়েছেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “বিধানসভার অধ্যক্ষ আইনানুগভাবে তাঁর ইস্তফা পত্র খতিয়ে দেখবেন এবং তারপরই সিদ্ধান্ত জানাবেন।”

আরও পড়ুন: করোনাকালেও ধারাবাহিক পরিষেবা, মমতা সরকারের প্রশংসায় UNICEF ও বিশ্বব্যাঙ্ক

এ দিন তাঁর হাতে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দল ছাড়ছেন? প্রশ্নের উত্তরে ‘সদ্য প্রাক্তন’ বিধায়কের উত্তর, “আমি এখনও দলের সদস্য, যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার থাকে, কাল জানাব।” এরপরই ভারাক্রান্ত হয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “মাননীয়া নেত্রী আমার মায়ের মতো। আমি তাঁর কাছে চিরঋণী থাকব। আমাকে বিধায়ক হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। এতদিন পর্যন্ত আমার পিছনে তাঁর ছবি ছিল, আগামীতেও থাকবে।”

৩১ তারিখ উলুবেড়িয়ায় অমিত শাহর সভায় দেখা যাবে তাঁকে? যোগ দেবেন কি বিজেপিতে? প্রশ্নের উত্তরে ‘না’ বলেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, “সংসদীয় রাজনীতিতে নির্দল হয়ে মানুষের জন্য কাজ করা যায় না। বড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে থেকেই কাজ করা যায়।” দলবদলের ক্ষেত্রে তাঁর যে মানসিক প্রস্ততিও সারা হয়ে গিয়েছে, সে কথাও লুকিয়ে রাখেননি তিনি। “মন্ত্রী সভা থেকে পদত্যাগ করার পর সাতদিন সময় নিয়েছি মানসিক প্রস্তুতির জন্য”, জানিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী।

তাহলে কি শেষ পর্যন্ত পদ্মফুলেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? তৃণমূলের প্রাক্তন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতোই রাজীবের কৌশলী ইঙ্গিত, ‘অপেক্ষা করুন, সব জানতে পারবেন। নিজেই সব জানাব।’

আরও পড়ুন: জেনারেল বেডে দেওয়া হচ্ছে সৌরভকে, ছুটি পেতে পারেন দু’এক দিনেই

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest