প্রথম দফার ভোটের আগে শেষ রবিবারে তিনটি জনসভা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিন জনসভার প্রথমটি দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কেওড়ানালায়। দ্বিতীয়টি উত্তর কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের লোকাল বাস স্ট্যান্ড মাঠে। তৃতীয়টি নন্দকুমার বিধানসভা কেন্দ্রের মহারাজা হাইস্কুল মাঠে।
বিজেপি এখন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। সেই টাকা থেকে গুণ্ডা পোষে। টাকা দিয়ে ভোট দেবেন না। মেয়েদের উপ গুরুত্ব দিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। এক পা দিয়ে বল মারলে সবাইকে বোল্ড আউট করে বের করে দেবে। আমার দুটো করে পা মা বোনেদের আছে, তাঁদের পা চলছে আমার সঙ্গে। মা বোনেদের পায়ের উপর ভর করেই আমি চলব।
আরও পড়ুন: ভেঙে গিয়েছে শরীর! সেক্স ডল স্ত্রীকে ডিভোর্স দিচ্ছেন বডিবিল্ডার
সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি, জগাই, মাধাই গদাই। তিনটেকেই বিদায় দিন। জিজ্ঞাসা করুন, কেন গ্যাসের দাম বাড়ছে। কেন পেট্রোলের দাম বাড়ছে। কয়েকটি কোটিপতি আপনাদের সব লুটে নিয়ে চলে যাবে। বিজেপি ভোট চাইলে জিজ্ঞাসা করুন, রেল, কোল, এয়ার ইন্ডিয়া, কেন বিক্রি হচ্ছে? পিএম কেয়ার্স, নোট বন্দির টাকা কোথায় গেল? জবাব দিতে বলুন। নির্বাচনের সময় লোককে ৫০০-১০০০ টাকা করে দিচ্ছে।
ভোট দিন গদ্দারদের বিরুদ্ধে, মির্জাফরদের বিরুদ্ধে। বিজেপি একটা ডাকাত পার্টি, সিপিএমের হার্মাদ আর আমাদের কিছু গদ্দাররা জুটেছে। বহিরাগত গুণ্ডাদের ঢুকতে দেবেন না। ভোটের মেশিন খারাপ হলে ধৈর্য্য ধরে বসে থাকবেন। নিজের ভোট দেবেন। ভোট হয়ে যাওয়ার পর পাহারা দিতে হবে সহকর্মীদের। ২০-৩০ জন করে ছেলে মেয়ে নিয়মিত পাহারা দেবে। যাতে কোনওভাবে ভোট মেশিন দখল করতে না পারে।
১০০ দিনের কাজে আমরা প্রথম। আপনারা আপনাদের ভাইবোনেদের ফিরে আসতে বলুন। এখানে বসেই সবাই কাজ করবে, মুম্বই যেতে হবে না। ভোটের দিন সবাইকে ডেকে আনবেন, যাতে ভোট দেয়। না হলে বিজেপি আবার বের করে দেবো। বহিরাগত গুণ্ডারা এসে পানবাহার চিবোচ্ছে, আর টিকা লাগিয়ে নিয়ে বলছে, ‘‘হাম যা বোলেগা, ওহি চলেগা।’’ উত্তরপ্রদেশে মেয়েরা দুপুরেও বেরোতে পারে না।
আমাদের সরকার জিতলে আপনার দরজায় দরজায় রেশন পৌঁছে দিয়ে আসবে। আমাদের সরকার জিতলে কৃষক, ক্ষেতমজুরদের টাকা বাড়িয়ে ১০ হাজার করা হবে। বছরে চার বার দুয়ারে সরকার হবে। মহিলারা ঘরে কাজ করেন, অনেকসময় তাঁদের হাতে টাকা থাকে না, তাঁদের নিজে পায়ে দাঁড়াতে হাত খরচ ৫০০ টাকা করে, তফশিলি জাতি ও উপজাতিরা ১০০০ টাকা পাবেন। পড়াশোনার জন্য পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড করা হবে।
আরও পড়ুন:এক দিনে সাড়ে তিন লক্ষ! দৈনিক টিকাকরণে রেকর্ড গড়ল রাজ্য