হেঁশেল অস্ত্রে বিজেপিকে ঘায়েল করতে শিলিগুড়িতে সিলিন্ডার হাতে মমতার মিছিল, পাশে মিমি-নুসরতও

চোর তৃণমূল ফেরতদের নিয়ে যে সোনার বাংলা গড়া সম্ভব নয়, তা গোটা বাংলা জানে। এখনো পর্যন্ত উন্নয়নের কোনও রূপরেখা দিতে পারেনি বিজেপি।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

 

এক দিকে যখন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে মোদী (Narendra Modi)। তখন অন্যদিকে, জ্বালানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির (Fuel Price Hike) প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে (Siliguri)  ‘সিলিন্ডার হাতে’ রাস্তায় নামলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেই সঙ্গে ভোট-রবিতে তড়তড়িয়ে পারদ চড়ল বাংলায়। বিশ্লেষকদের কথায়, আজকের দিনেই আনুষ্ঠানিক ভাবে মোদী-মমতা শুরু করলেন নির্বাচনী প্রচার (West Bengal Assembly Election 2021)।

শিলিগুড়ির রাস্তায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা গেল মিমি-নুসরতকেও। গ্যাস সিলিন্ডার আঁকা ফেস্টুন গলায় ঝুলিয়ে রাস্তায় হাঁটেন তাঁরা। তাঁদের পিছনে কয়েকশো কর্মী সমর্থকদের ভিড়।

গত কয়েকদিনে চড়চড়িয়ে বেড়েছে জ্বালানি পণ্যের দাম। আম-জনতার হেঁশেল আগুন। রান্নার গ্যাসের দাম কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তিন ধাপে ১০০টাকা বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। ভোটের মুখে এই মূল্যবৃদ্ধিকেই ইস্যু করে পথে নামছে তৃণমূল। পথে নামছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন দার্জিলিং মোড় থেকে ভেনাস মোড় পর্যন্ত একটি মিছিল হয়। তারপর সফদর হাসমি চকে হয় জনসভা।

ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, শিলিগুড়িতে মিছিলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের মুখে ‘টানটান’ রবিবার। উত্তরবঙ্গে তিন আসন ‘পাহাড়ের বন্ধু’-দের জন্য ছেড়েছে তৃণমূল। বাকি আসনে লোকসভা ভোটের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে আছে বিজেপি। সেই উত্তরেই প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর প্রথমবারের জন্য হাজির হচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। শুরু করছেন বিধানসভা ভোটের প্রচার। উত্তরের মন পেতে তাঁর কৌশল কী হবে? নজর থাকবে সেই দিকেই।

আরও পড়ুন:  Breaking :ব্রিগেডে পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদী

এর আগে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যাটারিচালিত স্কুটারে নবান্নে পৌঁছেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের স্কুটির পিছনে বসে নবান্নে পৌঁছেছিলেন বটে ফেরার সময় কিন্তু চালকের আসনে দেখা গিয়েছিল তাঁকেই। সেই প্রতিবাদও ছিল অভিনব।

বিজেপির হাতিয়ার বিদ্বেষী হিন্দু ভোট। ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে উন্নয়নের কি হলে হতে পারে তা উত্তর প্রদেশকে দেখে সবার জানা হয়ে গিয়েছে। আর চোর তৃণমূল ফেরতদের নিয়ে যে সোনার বাংলা গড়া সম্ভব নয়, তা গোটা বাংলা জানে। এখনো পর্যন্ত উন্নয়নের কোনও রূপরেখা দিতে পারেনি বিজেপি। তাদের ইস্যু কেবল ভাইপো।

অনেকে মনে করছেন মমতা এমন  পরিস্থিতি নিশ্চয় তৈরী করতে পেরেছেন, যাতে চোরেদের দল ঘাসফুল থেকে থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। আশ্রয় দিচ্ছে মোদির পার্টি। শুধু আশ্রয় নয়, তাদের দিয়ে সোনার বাংলা গড়ার কথা ভাবছেন ! চোরদের দিয়ে কেবল সিঁধ কাটা যায় তার বেশি কিছু নয়। মোদী শাহ যে সে কথা বোঝেন না তা নয়। নীরব মোদী, মেহুল চোকসির সঙ্গে ফটো সেশন করা নরেন্দ্র মোদী কেবল এটাই পারেন। এর বেশি কিছু নয়। আর যেটা তার দল পারে তা হল দাঙ্গা। বাংলার মানুষ সেটা চাইছে না।

আরও পড়ুন: এবার ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থেকেই হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস-ভিডিয়ো কল, জেনে নিন পদ্ধতি…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest