ভোট (West bengal Assembly Election 2021) বঙ্গে ফের দুঃসংবাদ। মারণ ভাইরাস (Corona Death) ফের কাড়ল প্রাণ। প্রয়াত খড়দহের (Khardah) তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) কাজল সিনহা (Kajal Sinha)। করোনা আক্রান্ত (Coropna Positive) হয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে (Beleghata Id Hospital) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখানেই তিনদিন ভেন্টিলেশনে থাকার আজ সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক ধরেই অসুস্থতা অনুভব করছিলেন কাজল সিনহা। উপসর্গ দেখা দিতেই নিভৃতবাসে (Home Isolation) চলে যান। লালারসের নমুনা পরীক্ষা (Swab Test) করেন গত মঙ্গলবার। বুধবার তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ (Corona Report Positive) আসে। এ এ দিকে শারীরিক পরিস্থিতি সামান্য খারাপ হওয়ায় ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আজ মৃত্যু হয় তাঁর।
কাজলের মৃত্যুর পর টুইটে শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘খুব, খুব দুঃখজনক ঘটনা। স্তম্ভিত। খড়দহে আমাদের প্রার্থী কাজল সিনহা প্রয়াত হলেন কোভিডে। মানুষের সেবা করার জন্য উনি নিজের জীবন নিয়োজিত করেছিলেন। নিরন্তর প্রচার করে গিয়েছেন। আমরা ওঁর অভাব বোধ করব। ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল’।
Very, very sad. Shocked. Kajal Sinha, our candidate from Khardaha, succumbed to Covid.He dedicated his life to serving people & just fought a tireless campaign. He was a long-serving committed member of @AITCofficial. We will miss him. My condolences to his family & his admirers
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 25, 2021
আরও পড়ুন: ভোটের মাঝেই জাতীয় পুরস্কার জিতে নিল বাংলার ৭ জেলার ১১ পঞ্চায়েত
এদিন কাজল সিনহার মৃত্যুতে কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের জন্য এসব ঘটল। প্রশাসন তাদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর কোনও পদক্ষেপ করেনি। ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে আছে। আজও বিজেপির লোকেরা মিটিং করছে, মিছিল করছে। কাজল সিনহা আমাদের দলের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। দল তাঁকে প্রার্থী করেছিল। কাজলের এই ক্ষতি পূরণ করতে পারবো কি না জানি না’।
শকুনের ছবি টুইট করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক লিখেছেন, ‘বাংলায় এখনো ২ দফার ভোটগ্রহণ বাকি। ৫ দিন অবশিষ্ট। এর মধ্যে ৩ প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। লক্ষ লক্ষ ভোটার ও ভোটকর্মী ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছেন। ৭১টি আসনে ভোটগ্রহণ বাকি। দুজন নির্বাচন কমিশনার যাবতীয় পরামর্শ উপেক্ষা করে মোদী- শাহের নির্দেশে কাজ করছেন।’
এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে দুই প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। কিছু দিন আগে সামশেরগঞ্জের সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ওরফে মন্টু বিশ্বাস মারা যান। তার পর দিনই মৃত্যু হয় জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। কাজলকে নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩ জন প্রার্থীর মৃত্যু হল রাজ্যে।
রেজাউল ও প্রদীপের মৃত্যুর পরে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের ভোট পিছিয়ে গিয়েছে। ১৬ মে হবে ওই দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। যদিও কাজলের মৃত্যুর আগেই খড়দহে ভোট হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কমিশনকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টর, তাতেই কি বাংলায় সভা বাতিলের সিদ্বান্ত মোদীর