কলকাতা: ভিন্-রাজ্য থেকে ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার সমস্ত খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। শনিবার টুইট করে এ কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘‘স্পেশাল ট্রেনে ভিন্-রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকেরা আসছেন, তাঁদের যাবতীয় খরচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার বহন করবে। রেলওয়ে বোর্ডকে চিঠি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে।’’
শনিবার রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদবকে চিঠিতে মমতা লেখেন, ‘আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলছি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা শ্রমিকদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গগামী সমস্ত ট্রেনের পুরো ভাড়া মেটাবে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গগামী কোনও ট্রেনের যাত্রীদের থেকে কোনও ভাড়া না নেওয়ার জন্য আবেদন করা হচ্ছে।’
টুইটে মমতা লিখেছেন, ‘প্রবাসী শ্রমিকরা যে কষ্ট সহ্য করেছে তাঁকে সেলাম করি। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে অন্যান্য রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসা সমস্ত স্পেশ্যাল ট্রেনের পুরো ভাড়া বহন করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কোনও যাত্রীকে এক পয়সাও ভাড়া দিতে হবে না।’
আরও পড়ুন: করোনা কাঁটা, শেষ পর্যন্ত যোগীরাজ্যেও বন্ধ হয়ে গেল NPR!
Saluting the toil faced by our migrant breathen, I am pleased to announce the decision of GoWB to bear the entire cost of movement for our migrant workers by special trains from other states to West Bengal. No migrant will be charged. Letter to Rly Board attached. pic.twitter.com/6bdxn7fwB8
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 16, 2020
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১০৫টি ট্রেনে ভিন্-রাজ্যে আটকে পড়ারা ফিরছেন এ রাজ্যে। সেই সব ট্রেনের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছিল রাজ্য। এ দিন নবান্নে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই টুইট করে শ্রমিকদের ফেরার ব্যাপারে বলেছেন, যাঁরা ফিরছেন, তাঁদের খরচ বহন করবে সরকার। এ ছাড়াও বিদেশে আটকে পড়াদের বিমানে রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে।’’ আগামী ১৮ মে বাংলাদেশ থেকে একটি বিমান আসছে। ওই বিমানে যাঁরা ফিরবেন, তাঁদের ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকতে হবে। নিজেরা হোটেল ভাড়া নিয়েও কোয়রান্টিনে থাকতে পারেন। সরকারি কোয়রান্টিনে থাকলে তার সমস্ত খরচ বহন করবে সরকার। ভিন্-দেশে আটকে পড়াদের ফেরানোয় কোনও সমস্যা নেই, এ বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রসচিব।
ভিন্-রাজ্যে আটকে পড়াদের তথ্য দিতে গিয়ে এ দিন আলাপনবাবু জানান, ১৬টি রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রী, তীর্থযাত্রী, পর্যটকেরা আটকে পড়েছেন ট্রেনগুলি যেখানে থামছেন, সেখানে তাঁদের মেডিক্যাল টেস্ট করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি জেলাগুলির তরফেও কোয়রান্টিন সেন্টারও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঁশের স্ট্রেচারে শুয়ে আহত শিশু, কাঁধে নিয়েই ১৩০০ কিমি পাড়ি শ্রমিক পরিবারের