কোভিডের আঁচ এসে লাগল রাজভবনেও। অন্তর্বর্তী ব্যয়ের জন্য অতিরিক্ত অর্থ চাওয়া হলেও অতিমারীর জেরে ব্যয় সঙ্কোচের কারণে তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল নবান্ন।
‘হাউসহোল্ড’ খাতে বরাদ্দ অর্থ কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে। সংসার চালাতে নবান্নের কাছে তিনটি খাতে অতিরিক্ত ৫৩.৫ লক্ষ টাকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপালের সচিব সতীশ তেওয়ারি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, করোনার কারণে ব্যয় সঙ্কোচের পথে হাঁটছে সরকার। তাই কোনও দফতরকেই অতিরিক্ত বরাদ্দ করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন : লাদাখে চিনের সঙ্গে লড়তে প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনা,এলএসি বরাবর মোতায়েন T-90, T-72 ট্যাঙ্ক
স্বরাষ্ট্র সচিবের চিঠি পেয়ে মাথায় হাত রাজভবনের কর্তাদের। কারণ, রাজভবনের অন্দরমহল পরিচালনার জন্য নামমাত্র টাকা পড়ে রয়েছে বলে রাজ্যপালের সচিব জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিবকে। তারপরেও বাড়তি বরাদ্দে রাজি হয়নি নবান্ন। এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবে রাজ্যপালের সংসার চলবে তা ভেবে পাচ্ছেন না কর্তারা। অর্থ দফতর সূত্রের খবর, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজভবনের জন্য সাড়ে ১৬ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। করোনা চলে আসায় অর্থ দফতর বেতন-পেনশন ছাড়া সব খাতের খরচ ৫০% ছাঁটাই করেছে। বাদ যায়নি রাজভবনও।
জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের গৃহস্থালি পরিচালনা, বিনোদন এবং অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক খাতে ব্যয়ের জন্য ৮৭,৬২,০০০ টাকা চেয়েছিল রাজভবন। ব্যয় সঙ্কোচের ফলে বরাদ্দ কমলেও ৩৪ লক্ষ টাকা পাওনা হয় বলে নবান্নকে জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দাবি, বেশ কিছু মাস ধরেই রাজভবনের প্রতি নেতিবাচক আচরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজভবনের প্রায় অর্ধ্বেক কর্মী অনুপস্থিত। তা সত্ত্বেও তহবিলের অর্থ জোগাতে রাজ্য সরকারের সমস্যা নিয়ে সঠিক জায়গায় আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন ধনখড়। তবে যে কোনও অর্থেই তিনি রাজভবনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হতে দেবেন না বলেও জানিয়েছেন। নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা বলেন,‘‘রাজ্যের ৫০টি দফতরের মতো রাজভবনেও ব্যয় সঙ্কোচ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। করোনার টাকা বরাদ্দেই যেখানে সমস্যা হচ্ছে, সেখানে রাজভবনে অতিরিক্ত বরাদ্দ কী ভাবে সম্ভব?’’
বহু তৃণমূলীর দাবি, রাজ্যপাল বিজেপির কাছে থেকে টাকা চাইলেই তো পারেন। ওদের তো টাকার অভাব নেই। রাজভবনটাকে তো বিজেপির পার্টি অফিসই করেছেন। ওঁর প্রতিক্রিয়ার ঠেলায় বাংলার বিজেপি নেতারা হাঁফিয়ে উঠেছেন। যা দিলীপের বলার কথা তাও তিনি বলার লোভ সামলাতে পারছেন না। সকালে দাবি করেন তিনি ‘অপমানিত।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাবহারে। বিকেলে বলেন তিনি ‘আপ্লুত।’ বলতে গেলে উনিই এখন বিজেপির মুখপাত্র।
আরও পড়ুন : ভারী বৃ্ষ্টির তাণ্ডব দেখতে চলেছে বাংলার ৫ জেলা! আবহাওয়ার রিপোর্টে কোন সতর্কতা