কলকাতা: আগামী সোমবার থেকে পুরোদমেই চালু হতে চলেছে পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য। গত ২৩ মার্চের পর থেকে লকডাউন এবং তার পরেও কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কায় রাজ্যের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দরে বাণিজ্য বন্ধ ছিল। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সীমান্ত বাণিজ্য চালু করার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পরেও বন্ধই ছিল পেট্রোপোল দিয়ে আমদানি-রফতানি।
নবান্ন সূত্রে খবর, কোভিড সংক্রমণ এড়াতে নির্দিষ্ট কয়েকটি বিধি নিষেধ মেনে সীমান্ত বাণিজ্য শুরু করার ছাড়পত্র দিয়ে শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তি পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের কাছে। ওই বিজ্ঞপ্তির উপর ভিত্তি করে তারা নির্দেশিকা জারি করবে। তার পরেই শুরু হবে সীমান্ত বাণিজ্য।
আরও পড়ুন: দলে থেকে আজেবাজে বকা যাবে না,বৈঠকে দলকে কড়া বার্তা মমতার
পেট্রাপোল রাজ্যের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর ২৪ হাজার কোটি টাকার আমদানি-রফতানি হয় এই স্থলবন্দরের মাধ্যমে। সরাসরি প্রায় ২০ হাজার মানুষ এবং পরোক্ষ ভাবে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার মানুষ নির্ভরশীল এই স্থলবন্দরের উপর।
শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, প্রায় আড়াই হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক গত দু’মাস ধরে আটকে রয়েছে পেট্রাপোলে। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শুল্ক দফতর যদি আজ রাতেও নোটিফিকেশন ইস্যু করে তবে পুরোদমে কাজ শুরু হতে সোমবার হয়ে যাবে।”
যদিও যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনে লেনদেন হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞদের দলও সীমান্তে ঘুরে যায়। লকডাউনের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ ছিল, দু’ দেশের নাগরিক চাইলে এই বন্দর ব্যবহার করে দেশে ফিরতে পারবেন। আমদানি রফতানির কাজ চলবে। বাস্তবে প্রথম দফার লকডাউন শুরু হওয়ার কয়েকদিন পরই এই সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায় ।
ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে সীমান্ত বাণিজ্য ফের চালু করার আবেদন জানিয়ে দরবার করা শুরু করেন। গত ৩০ মে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মেন্টর গোপাল শেঠও রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্য চালু করার আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি তাঁর চিঠিতে জানিয়েছিলেন, স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, ক্লিয়ারিং এজেন্ট এবং শ্রমিকরা, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং মহকুমা প্রশাসনও ঐকমত্য হয়েছেন, দ্রুত সীমান্ত বাণিজ্য চালু করার ব্যপারে।
আরও পড়ুন: Unlock 1: ১১ জুন থেকে খুলছে কলকাতা হাইকোর্ট, মানতে হবে কড়া নিয়ম