বর্ষবরণে হতাশ হবে না শহরবাসী। জমাটি শীতে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে তিলোত্তমা। হিমেল হাওয়া এখনই কাঁপিয়ে দিচ্ছে পাহাড় থেকে সমতল। আগামী দু’দিনে শীতের মেজাজ আরও চড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, দক্ষিণের জেলাগুলিতে শৈত্যপ্রবাহ চলবে আরও ৪৮ ঘণ্টায়। তাপমাত্রাও হুড়হুড়িয়ে নামবে।
কলকাতায় আজ ১২.৬ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি নিচে। গতকালই ১১ ডিগ্রিতে শিরশিরানি ঠান্ডা ছিল শহরে। কিছু জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে নেমেছিল। আগামী দু’দিন জেলাগুলিতে আরও ২ ডিগ্রি পারদ পতনের সম্ভাবনা আছে।
গত কয়েকদিন ধরে জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে পারদ পতন ভালই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশেপাশেই রয়েছে। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কমের দিকেই। উত্তুরে হাওয়ার দাপট থাকছেই। আবহাওয়া দফতর যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাতে বর্ষশেষের উদযাপন এবং বর্ষবরণের উল্লাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে কনকনে ঠান্ডার দাপট।
আরও পড়ুন: বিভাজনে ব্যস্ত বিজেপি! ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’, প্রশাসনিক বৈঠকে নয়া কর্মসূচি মমতার
উত্তর পশ্চিম থেকে শীতল হাওয়া ঢুকছে। এর জেরেই বঙ্গের বেশ কিছু জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত কয়েকদিন জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশে তুষারপাতের ফলে শীতল বাতাস আসছে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে। বুধবারও পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে। আগামী দু’দিন পরিস্থিতির খুব একটা হেরফের হবে না বলেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস।
অন্যদিতে উত্তর ভারতের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। সেখানে কয়েক সপ্তাহ ধরেই শৈত্যপ্রবাহ চলছে। দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থানের প্রবল ভাবে ঠান্ডা পড়েছে।
আরও পড়ুন: শালিমার স্টেশনের বাইরে শুটআউট, গুলিবিদ্ধ স্থানীয় TMC নেতা