আগে থেকে রাজ্যে যে আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছিল, সেটাই সংশোধিত করল রাজ্য সরকার। এবারে অনেকগুলো ক্ষেত্রে আগের চেয়ে আরও বেশি কঠোর বিধিনিষেধ জারি করল রাজ্য। সেক্ষেত্রে পূর্ণ লকডাউন না হলেও লকডাউনের মতোই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হল এই নয়া নির্দেশে। রবিবার সকাল ৬টা থেকে ৩০ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজ্যে ১৫ দিনের জন্য জারি হয়ে গেল এই ‘প্রায় লকডাউন’। রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে এই কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হল। এই নিয়ম না মানলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে নিয়ম ভঙ্গকারীকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
রাজ্যের নতুন সিদ্ধান্তে স্কুল, কলেজ, সরকারি-বেসরকারি অফিস, বাস, ট্যাক্সি অটো, প্রাইভেট গাড়ি, গাড়ি, মেট্রো, ফেরি সার্ভিস জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য পণ্য পরিবহণের গাড়ি আগামী ১৫ দিন বন্ধ করে দেওয়া হল। রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে বার হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে। তবে জরুরি পরিষেবার জন্য ট্যাক্সি, অটো চলতে পারে।
জরুরি পরিষেবা, যেমন ওষুধ, সংবাদমাধ্যম, দুধ ইত্যাদির জন্য যান চলাচল জারি থাকবে। স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিক, আইটিআই, অঙ্গনওয়াড়ি বন্ধ থাকবে।
দুধ-মাংস-সহ যেগুলি নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার, মুদি দোকান সেগুলি শুধুমাত্র সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: বিহার থেকে মৃতদেহ ভেসে মালদহে আসার আশঙ্কা, গঙ্গায় নজরদারির ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ নবান্নের
খোলা থাকছে পেট্রল পাম্প, অটো রিপেয়ারিংয়ের দোকান, রান্নার গ্যাসের বণ্টন কেন্দ্র। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা থাকছে।
খোলা থাকছে ওষুধ ও চশমার দোকান। বন্ধ থাকছে পার্ক, চিড়িয়াখানা, অভয়ারণ্য, পার্ক। তবে এসবের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চালানো যেতে পারে।
এছাড়াও বন্ধ থাকছে সমস্ত রকমের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক জমায়েত।
বিয়েবাড়িতে ৫০ জনের বেশি জমায়েত হবে না। সৎকার অনুষ্ঠানে ২০ জনের বেশি উপস্থিত থাকা যাবে না।
ব্যাঙ্ক সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা থাকছে। এটিএম খোলা থাকবে।
মান্যতা পাচ্ছে চা বাগানে ৫০ শতাংশ হাজিরা।
চালু থাকছে ই-কমার্স, হোম ডেলিভারি।
সিনেমা হল, শপিং মল, স্পা, জিম, বিউটি পার্লর বন্ধ থাকবে।
চটকলে ৩০ শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ করতে হবে।
এছাড়া জল, বিদ্যুৎ, বিপর্যয় মোকাবিলা, টেলিকম, ইন্টারনেট, সংবাদমাধ্যম খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন ঘোষণা হতেই মদের দোকানের সামনে উপচে পড়া ভিড়, শিকেয় দূরত্ববিধি