বাংলায় এ বার বিধানসভা ভোট হবে আট দফায়। দ্বিতীয় দফাতেই নন্দীগ্রামে ভোট হবে। তৃণমূল সূত্রের মতে, আজ বুধবার প্রথম দু’দফার ভোটের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে দল। অর্থাৎ আজই নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
মাস দেড়েক আগে নন্দীগ্রামের তেখালির সভায় মমতা নিজেই ঘোষণা করেছিলেন সেখানে তিনিই প্রার্থী হবেন। ফলে এখন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কেবল প্রথা মাত্র। নন্দীগ্রাম আসনে ভোটের জন্য ৫ মার্চ নোটিফিকেশন জারি করবে নির্বাচন কমিশন। ১২ মার্চের মধ্যে মনোনয়ন পেশ করার কথা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১১ মার্চ, শিবরাত্রির দিন নন্দীগ্রাম আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন মমতা।
পর্যবেক্ষকদের মতে, আসলে নন্দীগ্রামে মমতার প্রার্থী হওয়া কৌশলগত। সেখানে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আসলে দুই মেদিনীপুরে তার প্রভাব ফেলতে চাইছেন দিদি। কেন না গত এক দশক ধরে দুই মেদিনীপুরে শুভেন্দুই ছিলেন সর্বোচ্চ নেতা। জেলায় আর কোনও তৃণমূল নেতার শুভেন্দুর মতো রাজনৈতিক উচ্চতা ছিল না।
আরও পড়ুন: পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ! ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাঁচ লিটার পেট্রোল
ফলে এবার দুই মেদিনীপুরে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও তৃণমূল অনেকটাই সতর্ক ও মাপা পা ফেলবে বলেই অনেকের ধারণা। জেলার মন্ত্রীরও আসন বদল হতে পারে। যেমন জনস্বাস্থ্য কারিগরী মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বর্তমানে পিংলার বিধায়ক। কিন্তু এ বার আসন বদল হতে পারে তাঁর। তাঁকে ফের তমলুকে প্রার্থী করা হতে পারে। আবার কেশপুর আসন থেকে সরিয়ে শিউলি সাহাকে হলদিয়ায় প্রার্থী করা হতে পারে বলে তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি।
জানা যায় ২০১৬-তেই দিদি শিউলিকে হলদিয়ায় প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দুর আপত্তিতেই তা হয়নি। শুভেন্দু হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ ছাড়ার পর শিউলিকে সেখানে বসানোর কথা প্রথমে ভাবা হয়েছিল বলেও খবর। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর আসনে অখিল গিরির পরিবর্তে তাঁর ছেলেকে প্রার্থী করা হয় কিনা সেও দেখার।
তৃণমূলের একটি সূত্রের মতে, নন্দীগ্রামে লড়াইয়ের জন্য শেখ সুফিয়ানদের উপর অনেকটাই ভরসা করতে হবে তৃণমূলের কলকাতার নেতা ও পর্যবেক্ষকদের। ফলে সুফিয়ান বা তাঁর ঘনিষ্ঠ কাউকে প্রার্থী করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: শীর্ষ নেতৃত্বের চাপ? জিতেন্দ্র ইস্যুতে ঢোঁক গিললেন বাবুল, বললেন পুরানো কাসুন্দি ঘাঁটবো না