#কলকাতা: রবিবার সকালে কলেজ স্কোয়ারে সাঁতার কাটতে এসে মৃত্যু হল এক কিশোরের। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। ডুবুরি নামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেহ উদ্ধার হয় ওই কিশোরের।
জানা গিয়েছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট সুইমিং সেকশনে সাঁতার শিখত এন্টালির বাসিন্দা মহম্মদ শাহবাজ (১৭)। মহম্মদ আলি পার্কের কাছে একটি ইসলামিক অনাথাশ্রমের স্কুলে পড়ত সে। সপ্তাহ দুয়েক ধরে সাঁতার শিখছিল ওই কিশোর। এ দিনও সকালে পুলে যায় শাহবাজ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ১০০ নম্বরে ফোন করেন এক ব্যক্তি। ওই পুলে এক জন ডুবে গিয়েছে বলে পুলিশকে জানান তিনি। খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে যায় হাই রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস)। নামানো হয় ডুবুরি বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল। কিছুক্ষণ তল্লাশির পর কিশোরের দেহ উদ্ধার করা হয়।। মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শিক্ষানবিশদের যেখানে সাঁতার শেখানো হয়, সেই অগভীর জায়গা ছেড়ে গভীর জলে চলে গিয়েছিল ওই কিশোর। সেখানে জলের গভীরতা ৭ ফুট থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত। প্রথমে তাকে কেউ দেখতে পাননি বলে দাবি সাঁতার প্রশিক্ষণের ক্লাবের। নিয়ম অনুসারে সমস্ত শিক্ষানবিশেরই লাল টুপি পরার কথা। ওই কিশোরের মাথাতেও লাল টুপি ছিল। তার পরেও কেন প্রশিক্ষকরা তাকে দেখতে পেল না, এই প্রশ্নই এখন উঠছে।
এই ঘটনার পরেই বেঙ্গল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা এড়াতে সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে বেশকিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারা সব আচরণবিধিতে সইও করেছিল। তারপরেও কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি কারও গাফিলতি হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কলেজ স্কোয়্যারে সাঁতার বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, ২ বছর আগে ২০১৭-তে কলেজ স্কোয়্যারে সাঁতার কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয় কাজল দত্ত নামে এক জাতীয় স্তরের সাঁতারুর। সেইসময় তদন্তে দেখা যায়, পুলের জলের তলায় অবৈধভাবে বেশকিছু সিমেন্টের স্ল্যাব নির্মাণ করেছে সুইমিং ক্লাবগুলি। দুর্ঘটনা এড়াতে সেগুলিকে তখন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি, সাঁতার কাটার সময় সতর্ক থাকতে বলা হয় অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে। কড়া নজর রাখতে বলা হয়।