ফেসবুক–বন্ধুকে বিয়ে করে পুরনো স্বামীর ওপর অত্যাচার, ঠিক যেন সিনেমা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ফেসবুকে আলাপ। তাতে প্রেম। পরে বিয়ে। কিন্তু মুশকিল হল আগের স্বামী। সেও তো আছে ঘরে। প্রেমের টানে কোচবিহার থেকে কলকাতায় দৌড়ে আসেন পরিতোষ মন্ডল। তারপর যা হল, তা যে   কোনও সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়।

স্বামী, ছেলে নিয়ে সংসার ছিলই। সংসারের কাজ সামলে প্রথম প্রথম দু’দণ্ড নেটদুনিয়ায় নজর রাখতেন। তারই ফাঁকে কোনও একদিন কোচবিহারের যুবক পরিতোষ মণ্ডলের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তারপর থেকে দিনের বেশিরভাগ সময়ই কেটে যেত নেটদুনিয়ার ব্যস্ততায়। এভাবেই পরিতোষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। পরিতোষ জানতে পারেন ওই মহিলা বেহালার (Behala) শিশিরবাগানের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন : করোনার প্রকোপ কমতে অন্তত দু’‌বছর সময় লাগবে, আশংকা বাড়িয়ে মন্তব্য WHO প্রধানের

মহিলার স্বামী জানিয়েছেন, মাস ছয়েক আগে কোচবিহারের ওই যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে তাঁর স্ত্রীর পরিচয় হয়। সেখানেই দু’‌জনের ফোন নম্বর আদানপ্রদান হয়। ফোনে কথা বলা শুরু হয়। দু’‌জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। কয়েকদিন আগে বেহালায় তাঁদের বাড়িতে চলে আসে কোচবিহারের ওই যুবক।

বেহালার শিশিরবাগানের বাসিন্দা সোমা দাসের বহু বছর আগে বিয়ে হয়েছে। প্রতিবেশীদের দাবি, স্বামী মনোজিৎ দাস মাটির মানুষ। কোনও কিছুতেই কখনও বাধা দেন না তিনি। তার ফলে দাম্পত্য সম্পর্ক দিব্যি চলছিল। বছর ষোলোর এক পুত্রসন্তানও রয়েছে দু’জনের। একদিন আচমকাই সেই সংসারে এসে হাজির হন কোচবিহারের পরিতোষ মণ্ডল। তারপরই স্বামী জানতে পারেন সোমা এবং পরিতোষের ঘনিষ্ঠতার কথা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কৌশিকি অমাবস্যার দিন বাড়ির পাশে মন্দিরে যান সোমা এবং পরিতোষ। সেখানেই দ্বিতীয়বার বিয়েও করেন সোমা।

অভিযোগ, এর পরই প্রথম স্বামীর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতে শুরু করে তারা। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশকে এ খবর জানান। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই যুবককে তুলে নিয়ে যায় বেহালা থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন : চিকিৎসকদের মৌলবাদীতায় হয়রানির শিকার বিশ্বের অগণিত রুগী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest