‘দিন মজুর, যৌনকর্মীরা কীভাবে জ্বালবেন আলো?’ প্রধানমন্ত্রীর আর্জির পরিপেক্ষিতে প্রশ্ন স্বস্তিকার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: শুক্রবার এক ভিডিও কনফারেন্সে দেশবাসীকে নতুন বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৫ এপ্রিল রবিবার, রাত ৯টায় ঘরের সব আলো বন্ধ করে ঘরের দরজা বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ৯ মিনিটের জন্যে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানোর অনুরোধ করেছেন তিনি। তারই প্রতিবাদে এবার মুখ খুললেন বাংলার অভিনেতা স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, দেশের হত দরিদ্র, দিনমজুর, যৌনকর্মীদের নিয়ে কবে মুখ খুলবেন প্রধানমন্ত্রী? তাঁর কথায় এঁদের নাম উচ্চারিত হবে কবে? লকডাউনে পেটে ভাত, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই এঁদের। এঁরা কী করবেন! কী হবে এঁদের? জানতে চেয়েছেন তিনি। যাঁরা কাজ হারিয়ে, সর্বস্বান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, ফিরছেন পায়ে হেঁটে তাঁরা কোথা থেকে জ্বালবেন আলো? কীভাবে কিনবেন মোমবাতি? প্রশ্ন ছুঁড়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: মায়ের শ্রাদ্ধে নিমন্ত্রণ করেছিলেন ১৫০০ জনকে, তারপরেই করোনা মিলল প্রবাসীর শরীরে

স্বস্তিকার খেদ, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতিকে একত্রিত হওয়ার জন্য, অন্ধকার সময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের ধন্যবাদ জানানোর জন্য কাঁসর ঘণ্টা, শাঁখ বাজানোর পরে অন্ধকার করে আলো জ্বালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এই মানুষগুলি ১৩০ কোটি দেশবাসীর কোন শ্রেণির অধীনে? জাতির? নাগরিক? এঁদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, অর্থ না দিয়ে না দিয়ে প্রত্যাশা, এঁরা আলো জ্বালাবেন! ওহ যৌনকর্মীদের বেঁচে থাকার জন্য তো কেবল যৌনতার প্রয়োজন। আমি কেন এঁদের নিয়ে ভাবছি!’ পাশাপাশি তিনি তুলে ধরেন একটি ছবি। ছবি বলছে, সোনাগাছি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে রিঙ্কি, টিনিদের। তিন সন্তান নিয়ে তাদের ঠিকানা একটি বেঞ্চ। সেখানেই পালা করে তারা ঘুমোচ্ছেন তাঁরা। লকডাউনে খাবার, জল কিছুই পাননি। এঁদের হয়ে টুইটে স্বস্তিকা লেখেন, ‘দেশবাসী হিসেবে এঁদেরও অধিকার আছে অন্ন, বাসস্থানের, সম্মানের। আমি দুঃখিত, ওঁরা বোধহয় এসব থেকে বঞ্চিত’।

স্বস্তিকা টুইটে আরও বলেন, মোমবাতি, টর্চ, মুঠোফোনের আলো এঁদের জন্য যথেষ্টে? এঁরা নিজেদের আলোয় আলোকিত। নিজেদের শক্তিতে শক্তিমান। এঁদের জন্য থাক অন্তরের বিনম্র শ্রদ্ধা। আচরণে প্রকাশিত হোক সেই অনুভূতি। তাহলেই এঁদের যথার্থ মূল্যায়ন হবে। কেন এঁদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম পালন করতে হবে? এখানেই শেষ নয়। শেষ টুইটে রীতিমতো ব্যঙ্গ ঝরেছে অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার বাড়িতে মোমবাতি নেই। মনে হয়, আমার মতো দশা আরও অনেকেরই। চলুন, দল বেঁধে সবাই মোমবাতি কিনতে বের হই। # হ্যাপিশপিং!’

আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের মধ্যে এপ্রিলেই দেখা যাবে ২০২০ সালের বৃহত্তম গোলাপি চাঁদ! জেনে নিন লাইভ দেখবেন কীভাবে?

Gmail

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest