সামশুল আলম
কম্পিউটার, বাংলায় যাকে বলা হয় ‘যন্ত্রগণক/পরিগণক’। আমাদের নীল গ্রহে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এই বিস্ময়কর আবিষ্কার। কম্পিউটারের নির্ভুলতা ও অবিশ্বাস্য দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হয়েছে মানব সভ্যতা। তবে কি জন্মলগ্ন থেকেই এতটাই বিস্ময়ের বিস্ময় ছিল বিজ্ঞানের এই বরপুত্র!
উত্তরের সন্ধানে একটু ঘেঁটে দেখা যাক যন্ত্রগণকের বিবর্তনের ইতিহাস।
**১- অ্যাবাকাস- একটি সরল শিক্ষণ-সহায়ক যন্ত্র। এটি চীনে আবিষ্কৃত হয়েছে।
**২- নেপিয়ার’স বোনস্- বিজ্ঞানী জন নেপিয়ার এটি আবিষ্কার করেন ১৬১৭ সালে।
**৩- পাস্কালিন- বিজ্ঞানী পাস্কাল এটি আবিষ্কার করেন ১৬৪২ সালে।
আরও পড়ুন: আসছে FAU-G! লঞ্চ ডেট ও গেমের অ্যান্থেম শেয়ার করলেন অক্ষয় কুমার
অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন
**৪- অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন- কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজ এটি আবিষ্কার করেন ১৮৩৪ সালে। তার তৈরি অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন যান্ত্রিকভাবে গাণিতিক কাজ সম্পাদন করতে পারত এবং এই ইঞ্জিনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আজকের কম্পিউটারের ডিজাইনে এখনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷
**৫- তারপরেই শুরু হয়ে যায় কম্পিউটারের দ্রুত পরিবর্তন ও পরিবর্ধন। আধুনিক বিজ্ঞানের জগতে পা রাখতে শুরু করে মার্ক-১(MARK-1), ইএনআইএসি(ENIAC), ইডিএসএসি(EDSAC), ইউএনআইভিএসি(UNIVAC), আইবিএম-৬৫০(IBM-650) ইত্যাদি অত্যাধুনিক কম্পিউটার।
উল্লেখ্য, জেনারেশন অনুসারে কম্পিউটারের বিবর্তনের ইতিহাসকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা,
**প্রথম জেনারেশন- ১৯৪০-৫৬ (ভ্যাকিউম টিউব)
**দ্বিতীয় জেনারেশন- ১৯৫৬-৬৩ (ট্রানজিস্টার)
**তৃতীয় জেনারেশন- ১৯৬৪-৭১ (ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট)
**চতুর্থ জেনারেশন-১৯৭১- এখনও পর্যন্ত (মাইক্রোপ্রসেসর)
**পঞ্চম জেনারেশন- ১৯৮০- বর্তমান এবং ভবিষ্যত জেনারেশন (আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স)
আরও পড়ুন: লোরি, পোঙ্গল, মকরসংক্রান্তির স্টিকার শুভেচ্ছাবার্তা হোয়াটসঅ্যাপে কীভাবে পাঠাবেন, জেনে নিন