একঘেয়ে সেক্স! প্রথম দফাতে বিক্রি হলেও পরের দফায় কন্ডোমের বিক্রি তলানিতে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: লকডাউনের প্রথম দফায় সুরক্ষা নিয়ে মানুষ যতটা সংযমী মনোভাব দেখিয়েছিল, দ্বিতীয় দফায় ততটাই বেপরোয়া।

ধন্বন্তরির কর্ণধার রাজেন্দ্র খাণ্ডেলওয়াল বলেন, ‘জনতা কার্ফুর আগের দিন থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনে কন্ডোম-সহ বিভিন্ন গর্ভনিরোধকের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।’

লকডাউনে অফিস কাছারি বন্ধ থাকায় সারাদিন স্বামী-স্ত্রী ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য হন। অন্যদিন এতটা সময় একসঙ্গে কাটানোর সুযোগই তাঁরা পেতেন না। ‘এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক ভাবে আমাদের দোকানগুলিতে কন্ডোম, গর্ভনিরোধক পিল, লুব্রিকেটিং জেল এমনকী বিভিন্ন ইরোটিক পণ্যের বিক্রি প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল,’ মেডলাইফ সংস্থার এক আধিকারিক বলেন। একই অভিজ্ঞতা রাজ্যের আর এক ওষুধ বিক্রেতা চেইন মেডিশপি ফার্মাসির। লকডাউন চলাকালীন ওই সংস্থার কন্ডোম এবং গর্ভনিরোধক পিলের বিক্রি গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ১৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে নিখরচায় ফিরল ভারতীয়রা, শ্রমিকদের বেলায় ট্রেন ভাড়া কেন, এবার প্রশ্ন বিজেপি সাংসদের

তবে, লকডাউনের প্রথম দিকে গর্ভনিরোধক কেনার যে হিড়িক দেখা গিয়েছিল, পরের দিকে তা অনেকটাই থিতিয়ে যায়। করোনা মহামারীর সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে তাঁরাই সংযম কাটিয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। পূর্বাঞ্চলে অ্যাপোলো ফার্মাসির বিজনেস হেড কৌশিক কুমার মাইতির কথায়, ‘লকডাউনের শুরুতে চাহিদা দেখা গিয়েছে। যদিও দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউনের আগে থাকতেই সেই চাহিদা ক্রমে থিতিয়ে যেতে শুরু করেছে।’

লকডাউনের প্রথম দফায় গর্ভনিরোধকের অর্ডার সাময়িক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ম্যানকাইন্ড ফার্মার এক আধিকারিক। ম্যানফোর্স ব্র্যান্ডের কন্ডোমের পাশাপাশি আনওয়ান্টেড ৭২, আনওয়ান্টেড ২১ ব্র্যান্ডে গর্ভনিরোধক বিক্রি করে সংস্থাটি। ওই সময় গর্ভনিরোধকের বিক্রি বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেছেন টিটিকে প্রোটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট এবং টিটিকে হেলথকেয়ার লিমিটেডের দুই আধিকারিক।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, ব্যাপক হারে বিক্রি কমে গিয়েছে কন্ডোমের। ব্রিটেনে তো বটেই। এমনকী গোটা বিশ্বেও কন্ডোমের বিক্রি এক্কেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে দাবি, কন্ডোম প্রস্তুতকারক সংস্থা ডিউরেক্স-এর।সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী একটা বিষয় পরিষ্কার যে, লকডাউনে গৃহবন্দি মানুষের এখন সেক্সের প্রতিও তীব্র অনীহা।

আরও পড়ুন: মদের দোকান খুলতেই হুলস্থূল দেশজুড়ে, কর্নাটকে ফাটল বাজি, নাজেহাল পুলিশ

Gmail

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest