ডান্ডা মেরে থামানো যাবে না করোনা, বুঝতে হবে এদেশের পুলিশকে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আরিফ আজাদ

করোনা ডান্ডা মেরে থামানো যায়না। এদেশের পুলিশকে তা বোঝায় কে! ডান্ডা মেরে আরও বহু কিছু সিধে করা যেত। কিন্তু তখন পুলিশ অঙ্ক কষে। কার ভাগ্নে, কার ভাইপো সেসব আগে থেকে পুলিশকে বুঝে নিতে হয়। সে অনুযায়ী তারা ঠিক করে উপঢৌকন নাকি ডান্ডা।

আরও পড়ুন: রাজ্যের ২২টি জেলায় হবে ‘করোনা হাসপাতাল’, নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত রাজ্যসরকারের

fresh

করোনা-লকডাউন চলছে গোটা দেশে। দিশেহারা সাধারণ মানুষ। ভারতের মত দেশে ২১ দিনের লকডাউন সত্যিই অভাবনীয়। সবাই সে কথা জানে। পুলিশ ভিনগ্রহের বাসিন্দা নয়। অথচ খাবার আনতে বাজারে বের হওয়া লোকজনকেও বেধড়ক পেটাচ্ছে পুলিশ। সমস্যা হল এদেশের পুলিশ কেবল মারতে জানে। খাকি পোশাক হাতে ডান্ডা , কোমরে রিভলভার হলেই ফুলটুস পুলিশ। আইন কানুন জানার তেমন প্রয়োজন নেই। আইপিসি, সিআরপিসি-র কয়েকটি ধারা বই দেখে টুকে দিলেই চলে। সব ঠান্ডা করতে ডান্ডা তো রয়েছেই।

আরও পড়ুন: ৯৯.৯ শতাংশ কার্যকারী! করোনা মোকাবিলার অস্ত্র প্রস্তুত করে ফেলেছে চিন

প্রধানমন্ত্রী মোদী মঙ্গলবার দেশজুড়ে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন। পুলিশ তার দায়িত্ব- বুদ্ধি কিংবা হৃদয় দিয়ে পালন না করে লাঠি দিয়ে করছে। পুলিশি নিগ্রহের বহু খবর আসছে। কোথাও ডাক্তারকে পথে নিগ্রহ করা হয়েছে , কোথাও সবজিওয়ালাকে। কোথাও কেবল খাবারের খোঁজে বের হওয়া মানুষটিকে রাস্তায় অসহায় অবস্থায় পেয়ে হাতের সুখ করছে পুলিশ। তাদের সংবেদনহীন এই কাজ সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়েছে।

সকলেই বুঝেছেন করোনা মারাত্মক জিনিস। কিন্তু তাতে কি। সবার ঘরে খাবার মজুদ নেই। তাছাড়া জরুরী পরিষেবা চালু রাখতে বলা হয়েছে। পুলিশ কি তা জানে না। তারপরও ডেলিভারি বয়দের মারধর করা হয়েছে। সবজিওয়ালাকে মারা হয়েছে। খাবার কিংবা ওষুধ আনতে গেলেও বহু জায়গায় পুলিশ বেধড়ক মারধর করছে। অবিলম্বে পুলিশকে সংযত হতে হবে। ক্ষোভে ফুঁসছেন নেটনাগরিকরা। তিন সপ্তাহ দীর্ঘ সময় সেটা পুলিশের বোঝা উচিত। একইভাবে তা কেন্দ্রেরও বোঝা উচিত ছিল। সেই মোতাবেক পুলিশকে নির্দেশ দিতে হত। এদেশের পুলিশ সেই ব্রিটিশ জমানা থেকে কেবল পেটাতে শিখেছে। এদের কাজ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো। সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে।

coronahelmet

যদিও সমালোচনার মুখে পরে দিন দুই হল পুলিশ খানিকটা সংযত ব্যবহার করছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে উঠে আসছে পুলিশের মানবিক ছবিও। এই ধারাই বজায় থাকুক, আপাতত এটাই কাম্য।

আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে হিন্দু বৃদ্ধের সৎকারে এলেন না পরিজনেরা, কাঁধ দিলেন মুসলিম যুবকরা, দেখুন ভিডিয়ো

Gmail 7

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest