একরাতে কোভিড পজিটিভ ১০৫৪, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ২৪ হাজার, মৃত ৭৭৫

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে ২৫ এপ্রিল সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা মোট ২৪,৫০৬। মৃত্যু হয়েছে ৭৭৫ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫০৬৩ জন। এখন দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা মোট ১৮,৬৮৮।

আক্রান্তের সংখ্যায় এই রেকর্ড বৃদ্ধি স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, এক মাসের লকডাউন কি তবে কাজ দিচ্ছে না? স্বাস্থ্য মন্ত্রক কিন্তু বলছে, অন্যান্য দেশের থেকে ভারতের অবস্থা অনেকটাই ভালো। দেশে করোনার সুস্থতার হার ২০.৫৭ শতাংশ। আগে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল মাত্র ৩ দিনে, এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১০ দিন৷ লকডাউনের কার্যকারিতাতেই এই সাফল্য৷ ঠিক সময়ে লকডাউন শুরু না করলে এখন দেশে ২৩,০০০-র পরিবর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে যেত! কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন নিজেও দাবি করেছেন, ঠিক সময়ে লকডাউনের জন্যই ভারতে করোনা সংক্রমণ তৃতীয় ধাপে পৌঁছতে পারেনি। তবে, এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হওয়ার সময় যে আসেনি, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিয়েছেন, করোনার সঙ্গে এই লড়াই চলবে আরও অন্তত চার মাস৷

আরও পড়ুন:  রাজ্যে ৫৭ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, তবে করোনার কারণেই মৃত ১৮: জানালেন মুখ্যসচিব

দেশে সংক্রমণের শীর্ষে এখন মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৪২৭। শুধু মুম্বইয়েই সংক্রমিত ৪২০৫ জন, যাঁদের মধ্যে অন্তত ২০০ জন ধারাভির বাসিন্দা। ঘিঞ্জি এই বস্তিতে সব মিলিয়ে প্রায় দশ লক্ষ লোকের বাস। সেখানে এক বার সংক্রমণ শুরু হলে তা রোখা কার্যত অসম্ভব বলে গোড়া থেকেই আশঙ্কা করছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। বাস্তবে হয়েছেও তা-ই। ধারাভিতে প্রতি দিন একাধিক করোনা-আক্রান্তের খবর আসায় ইতিমধ্যেই প্রায় তিন হাজারেরও বেশি ধারাভিবাসীকে নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। আর সারা দেশে প্রায় সাড়ে ন’লক্ষ মানুষ নিভৃতবাসে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের প্রধান এস কে সিংহ। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, এই সমস্যা শুধু মুম্বইয়ের নয়। কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই কিংবা ছোট শহরের যেখানে ঝুপড়ি ও বস্তি রয়েছে, সেখানেই সাধারণ শৌচাগারের উপস্থিতি সব সময়েই করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি করছে। তাই আন্তর্মন্ত্রক দলের পক্ষ থেকে মুম্বইয়ের স্থানীয় প্রশাসনকে ধারাভির কাছেই উপযুক্ত খোলা জায়গায় আরও বেশি করে ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার বসাতে বলা হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যের প্রশাসনকেও বস্তি এলাকায় বেশি করে ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার বসানো ও সেগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। যদিও অনেকের মতে, ব্যক্তিগত শৌচাগারের অভাবের বিষয়টি মোদী সরকারের স্বচ্ছতা অভিযানের সাফল্য নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

আরও পড়ুন:  করোনা যোদ্ধাদের স্যালুট, মুক্তি পেল নতুন করে লেখা ‘তেরি মিট্টি’, দেখুন ভিডিও

Gmail 3
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest