নিজামুদ্দিনে যাওয়া ৫৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে, সংকটের সময়ে জাতপাতের রাজনীতি না করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: দিল্লির নিজামুদ্দিনের যে ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ব্যাপক হারে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেখানে অংশ নিয়েছিলেন এই রাজ্যেরও বেশ কয়েকজন মানুষ। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজের থেকে জানিয়েছেন বলে এ দিন নবান্নে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘নিজামুদ্দিনে যোগ দেওয়া ৫৪ জনকে মঙ্গলবারই হোম কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই ৫৪ জনের মধ্যে ৪০ জন বিদেশি। যাঁরা মায়ানমার, থাইল্যান্ড থেকে এসেছিল।’

তবে, ইতোমধ্যে গোটা ঘটনাটিকে রাজনৈতিক দিকে ঘোরানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিজামুদ্দিনের ঘটনাকে ‘করোনা সন্ত্রাস, সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, পুরো দেশে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা সঙ্গীত সোম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘এই সংকটের সময়ে জাতপাতের রাজনীতি করবেন না! জাতের নামে বজ্জাতি করবেন না’ তাঁর কথায়, “আমরা খবর পেয়েছি দক্ষিণ দিনাজপুরের দু’জন, বাঁকুড়ার একজন এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাটের দু’জন নিজামুদ্দিনে গেছিলেন। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। আশা করব তাঁরা নিজেরাই পুলিশকে জানাবেন।”

আরও পড়ুন: পাওনা ৩৬০০০ কোটি,অবিলম্বে ২৫০০০ কোটি মেটান- মোদীকে চিঠি মমতার

সরকারি সূত্রে খবর, কলকাতার হজ হাউজে অনেককেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাঁদের দেখভালের ব্যবস্থাও সরকার করছে।মঙ্গলবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রত্যেককে চিহ্নিত করে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকলের কোভিড-১৯ পরীক্ষা হবে বলেও জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব।নিজামুদ্দিনের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারও সতর্ক ছিল না বলে অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর কথায়, “১৩ মার্চ যেদিন ওখানে অনুষ্ঠান চলছে সেদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখেছিলেন। তাতে বলা ছিল ভারতে এখনও কোভিড-১৯ মহামারীর আকার নেয়নি।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র সতর্ক থাকলে রাজ্যগুলিও সতর্ক থাকতে পারত!”

আরও পড়ুন: নীরব ও নিস্তব্ধ…দেখে নিন লকডাউন কলকাতার অচেনা অ্যালবাম

বুধবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়, ওই অনুষ্ঠানে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করুক সব রাজ্য সরকার। অবিলম্বে তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হোক। পজিটিভ হলে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে দ্রুত। কেন্দ্রের আশঙ্কা, নইলে করোনা সংক্রমণ দ্বিতীয় স্তর থেকে এক ধাক্কায় তৃতীয় স্তর অর্থাৎ গোষ্ঠী সংক্রমণ তথা কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। দিল্লির মসজিদের অনুষ্ঠানে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ৬ জনের করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে। এঁরা সবাই তেলেঙ্গানার বাসিন্দা। এর আগে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পরে করোনা আক্রান্ত হয়ে তামিলনাড়ু ও জম্মু-কাশ্মীরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: দেশে অমিল করোনা সুরক্ষা কিট তা সত্ত্বেও সার্বিয়াকে চিকিৎসা সামগ্রী রফতানি! নিরুত্তর কেন্দ্র

Gmail 7

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest