কলকাতা: সকাল থেকে কখনও মেঘলা আকাশ তো কখনও রোদ। সেই সঙ্গে কখনও বইছে ঝোড়ো হাওয়া। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গায় ধেয়ে আসবে ঝড়। ঝড়ের গতিবেগ ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
টানা ঝড়-বৃষ্টি চলছে বাংলা জুড়ে। ফলে এপ্রিলের শেষবেলায় পৌঁছেও গরম সে ভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি। আবহবিদরা জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এই প্রবণতা চলবে। রবিবার বিকেলের পর থেকে রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৪৩ থেকে ৯১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: লকডাউন তোলার রূপরেখা! মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে মোদী, রয়েছেন মমতাও
বাংলাদেশ ও মধ্য প্রদেশে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। আসাম থেকে পাঞ্জাব পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এই অক্ষরেখা উত্তর বাংলাদেশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ দক্ষিণ বিহার ও মধ্যপ্রদেশের উপর দিয়ে বিস্তৃত। এর ফলে পূর্ব ভারতের রাজ্য মধ্য ভারত এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস।
বুধবার থেকে ঝড় বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে। আগামী এক সপ্তাহ ধরে ঝড় বৃষ্টি চলবে রাজ্যজুড়ে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের প্রবেশ নিষেধ। পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশার মৎস্যজীবীদের উত্তর বঙ্গোপসাগর এর দিকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে এবং সমুদ্রের ভেতরে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে। দক্ষিণ আন্দামান সাগরে বৃহস্পতিবার তৈরি হবে নিম্নচাপ। এর কারণে বুধবার থেকেই মৎস্যজীবীদের আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এ প্রবেশ করতে নিষেধ করা হচ্ছে। পরবর্তী ঘোষণার আগে পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ তৈরীর প্রবল সম্ভাবনা। এই নিম্নচাপ পরবর্তী 48 ঘন্টায় গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথমে উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এই অতি গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে তা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। চার থেকে পাঁচ মেয়ে নাগাদ মায়ানমার বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়।
আরও পড়ুন: একজনের ভুলের জন্য সবাইকে বিচার করবেন না, নিজামুদ্দিনের উল্লেখ না করে বার্তা ভাগবতের