পুলওয়ামায় শীর্ষ হিজবুল কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকু খতম, বড় সাফল্য সেনার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শ্রীনগর: লকডাউনের মধ্যেও জঙ্গি কার্যকলাপে ছেদ পড়েনি জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকায়। উপত্যকায় ফের বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম শীর্ষ হিজুল কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকো। মঙ্গলবার রাতভর কাশ্মীরের অবন্তীপোরায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই চলে। নিরাপত্তারক্ষীরা জঙ্গিদের ঘিরে ফেলেছিল। বুধবার সকালে সেনার গুলিতে খতম হয় রিয়াজ। তার মাথার দাম রাখা হয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা।

নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গতরাতে হিজবুল মুজাহিদিনের কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকুর খোঁজে অভিযান শুরু করে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর একটি যৌথ দল। কাশ্মীর উপত্যকায় সক্রিয় হিজবুল জঙ্গিদের সবথেকে বড় মাথা হল এই রিয়াজ। 

আরও পড়ুন: গভীর রাতে কলকাতায় আছড়ে পড়ল কালবৈশাখী, আগামী ৩ দিনও রাজ্যজুড়ে বর্ষণের পূর্বাভাস!

মঙ্গলবার রাতে অবন্তীপোরায় কাশ্মীর পুলিশ, ৫৫ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও সিআরপিফের যৌথ অভিযান চলে অবন্তীপোরার বেইঘপোরায়। সেখানে জঙ্গিদের আস্তানা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তারক্ষীরা। সেখানে বেশ কিছু জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপর রাতে শুরু হয় প্রবল গুলির লড়াই। এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত হয়েছে গুলির লড়াইয়ে। নিকেশের মধ্যে রয়েছে রিয়াজও।

ইতিমধ্যে পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরার শারসালি গ্রামে গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। পুলিশকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ১২-১৫ টি বাড়ির সাধারণ নাগরিকদের উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জঙ্গির কাছ থেকে একটি একে-৫৬ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, হিজবুলের ওই শীর্ষ জঙ্গি দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে। এই হিজবুল কমান্ডার রিয়াজ নাইকু ২০১৬ সালে বুরহানওয়ানি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হওয়ার পর উপত্যকায় হিজবুল জঙ্গি গোষ্ঠীর দায়িত্ব নেয়। দীর্ঘদিন ধরেই বেইগপুরা এলাকা থেকে জঙ্গি দলে স্থানীয়দের নিযুক্ত করার কাজ করছিল সে। পাশাপাশি পুলিশকর্মী-অফিসারদের হত্যার মতো ঘটনায় তার নাম ওয়ান্টেডের তালিকায় ছিল। ২০১৮ সালে সোপিয়ান ও পুলওয়ামা এলাকায় প্রচুর স্পেশাল পুলিশ অফিসারকে (এসপিও) অপহরণ করে চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, ওই ঘটনা-সহ একাধিক অপরহণ, খুনের মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত এই হিজবুল কমান্ডার।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর মত করোনার টিকা আবিষ্কার সম্ভব নাও হতে পারে, আশঙ্কা WHO-র

Gmail
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest