The News Nest: তিনমাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চল। জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকেই দার্জিলিং, কার্শিয়ং, কালিম্পংয়ের সমস্ত হোটেল, হোম স্টে খুলে যাচ্ছে। হোটেল মালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিটিএ। এই খবরে স্বভাবতই উচ্ছ্বাসিত ভ্রমণপ্রেমীরা। পর্যটন ব্যবসায় ফের জোয়ারের আশায় স্বস্তির নিঃশ্বাস হোটেল মালিকদেরও।
তবে, এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা হয়নি। এমনকী দার্জিলিংয়ের হোটেল, লজ, হোম স্টে’গুলিও কোনও বুকিং নিচ্ছে না। তবে জিটিএ সূত্রের খবর, সমস্ত বিধিনিষেধ মেনেই খোলা হবে পর্যটন ব্যবসা।
তবে পর্যটকদের স্বাগত জানানোর সিদ্ধান্ত হলেও সমস্যা দাঁড়িয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশের অস্পষ্টতা। একজন পর্যটক দার্জিলিংয়ে পৌঁছানোর পরে তিনি কি সরাসরি হোটেলে ঢুকতে পারবেন, না কি তাঁকে প্রথমে কোয়ারান্টিন সেন্টারে যেতে হবে, সেই ধন্দ কাটেনি। বিদেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এসওপি ঘোষণা করেছে। তাঁদের প্রথম সাত দিন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারান্টিন এবং সাত দিন হোম কোয়ারান্টিনের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির জন্য সুখবর! পুজোর সময় থেকে শুরু হচ্ছে IRCTC ট্যুর, জেনে নিন নয়া নিয়ম…
লকডাউনের শুরুতেই দার্জিলিংয়ের প্রায় সাড়ে তিনশো হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৮ জুন রাজ্যে হোটেল খোলার জন্য রাজ্য সরকার নির্দেশ দিলেও দার্জিলিংয়ের হোটেল মালিকরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা হোটেল খুলবেন না। অবশ্য তার পরে বৈঠকে হোটেল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পর্যটকদের আসা নিয়ে অস্পষ্টতা থেকেই যায়। সিকিম অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, সেপ্টেম্বরের আগে সেখানে কোনও হোটেল খোলা হবে না।
যদিও সরকারি নির্দেশ মেনে হোটেল খুলে দেওয়া হলেও পর্যটকরা কতটা আসবেন, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। এমনকী পর্যটকদের ক্ষেত্র কোয়ারানটিন নিয়মও স্পষ্ট নয়। হোটেল মালিকদের অনেকেরই প্রশ্ন, ‘কাল কোনও পর্যটক পাহাড়ে এসে কী সরাসরি হোটেলে ঢুকতে পারবেন? এখনও যা নিয়ম তাতে তাঁকে প্রথমে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টিনে যেতে হবে। বড় হোটেল করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারবে। পাহাড়ের ছোট হোটেলগুলির ক্ষেত্রে এই নিয়ম কী ভাবে মেনে চলা হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে আমরা সরকারি নির্দেশ মেনে চলব ঠিক করেছি।’
তবে, জিটিএ জানিয়েছে, আপাতত দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পঙে ঢোকার সমস্ত এন্ট্রি পয়েন্টগুলিতে হেল্প ডেস্ক খোলা হবে, সেখানে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি হোটেল পর্যটকদের জন্যেও থাকবে বিধিনিষেধ। মাস্ক ছাড়া কোথাও ঢুকতে দেওয়া হবে না। পর্যটকদের গাড়িগুলিতে অর্ধেক সংখ্যার বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। হোটেলগুলিতেও প্রতিটি ঘরে পর্যটকরা ছাড়লে ২৪ ঘণ্টা ফাঁকা রেখে স্যানিটাইজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র হাতছানি দিচ্ছে? বেরিয়ে পড়ুন দিঘার উদ্দেশে, চালু হোটেল বুকিং!