এস্কিমোদের বরফের ঘরের কথা অল্পবিস্তর সকলেরই জানা। সে ঘর নাকি আপাদমস্তক শুধু বরফ দিয়েই তৈরি। আর তার ভিতরে ঢুকে হাড়কাঁপুনি ঠান্ডা থেকে নিজেদের রক্ষা করে এস্কিমোরা।এস্কিমোদের এই বরফের ঘরকে বলা হয় ইগলু। ইগলুতে তাঁদের জীবনযাত্রা নিয়ে ছোট থেকেই আলাদা কৌতূহল জন্মায়। এ বার কিছুটা হলেও সেই কৌতূহল মেটানোর সুযোগ পেতে চলেছেন আপনিও।
এর জন্য শুধু ব্যাগপত্র গুছিয়ে যেতে হবে গুলমার্গে। কারণ, গুলমার্গে তৈরি হয়েছে ভারতের প্রথম ইগলু রেস্তরাঁ। যা এশিয়ার সব ইগলু রেস্তরাঁর মধ্যে আকারে সবচেয়ে বড়।যা পুরোটাই বরফ দিয়েই তৈরি। রেস্তরাঁয় যা যা সুবিধা পেয়ে থাকেন, এই ইগলু রেস্তোরাঁতেও সে সমস্ত সুবিধাই পাবেন আপনিও।
এই ইগলু ক্যাফেটি (Igloo Cafe) ১৫ ফুট উঁচু এবং চওড়ায় ২৬ ফুট। ভিতরে মোট চারটি টেবিল রয়েছে। যেখানে বসতে পারেন একসঙ্গে ১৬ জন অতিথি। ঠিক ছবিতে বা ভিডিওতে এস্কিমোদের বাসস্থানকে দেখতে যেমন লাগে, এই ক্যাফেটিকেও তেমনভাবেই সাজানো হয়েছে। তাই অনেকেরই নজর কেড়েছে এই ক্যাফেটি। ইতিমধ্যে স্থানীয়দের মধ্যে বেশ সাড়াও ফেলে দিয়েছে তা। এমনকী পর্যটকরাও এখানে যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহী। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের অনেকেই এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: বরফের চাদরে ঢাকল সান্দাকফু,দার্জিলিংয়ে মরসুমের প্রথম তুষারপাত
First Igloo Cafe comes up in kashmir's Gulmarg pic.twitter.com/ILcL1uDIuI
— Basit Zargar (باسط) (@basiitzargar) January 27, 2021
বিদেশে অনেক আগে থেকেই ইগলু কাফের প্রচলন রয়েছে। বিশেষ করে সুইৎজারল্যান্ডে বহুল প্রচলিত ইগলু কাফে। তবে ভারতে এই প্রথম।ভিতরে চেয়ার, টেবিল সমস্তই শুধু বরফ দিয়ে তৈরি। হাওয়া চলাচলের জন্য দেওয়ালে বরফ কেটে ছোট ছোট জানলা বানানো হয়েছে।
বরফের চেয়ারে যাতে বসতে অসুবিধা না হয়, তাই প্রতিটা চেয়ারের উপর ভেড়ার মোটা চামড়া বিছিয়ে দেওয়া। তার উপরই পর্যটকেরা বসবেন। এর ভিতরে বসে সুস্বাদু গরম খাবার উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকেরা। তবে অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে এর ভিতরে আরও ঠান্ডায় কাবু হয়ে যাবেন না তো পর্যটকেরা?
উত্তরে বলতে হবে অবশ্যই না। কারণ, বরফ তাপ প্রতিরোধের কাজ করে। তাই বরং বাইরের অত্যধিক ঠান্ডা হাওয়া ভিতরে ঢুকতে পারে না। বাইরের থেকে ভিতরটা অনেক বেশি মনোরম। গুলমার্গের কোলহাই রিসর্টের অধীন এই রেস্তোরাঁটি। তবে এই রিসর্টের অতিথিদের সঙ্গে বাইরের লোকজনও রেস্তরাঁ উপভোগ করতে পারেন।
তবে এই রেস্তোরাঁয় বসে কী কী পদ উপভোগ করতে পারবেন, আর তার জন্য কত টাকা পকেট থেকে খসাতে হবে, সে সমস্ত এখনও খোলসা করেননি কর্তৃপক্ষ। জানতে গেলে একবার ঘুরে আসতেই হবে গুলমার্গ থেকে।
আরও পড়ুন: খরচ, মাত্র ৫০ টাকা! গঙ্গাবক্ষে চালু হল ভাসমান গ্রন্থাগার