হানাবাড়ি দেখতে চান? সপ্তাহান্তে ঘুরে আসতে পারেন মঙ্গলগঞ্জ থেকে, দেখা মিলতে পারে ভূতের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কম খরচে দেড়দিনের সফর আপনার অবসাদ মুক্তির অন্যতম উপায় হতে পারে। সপ্তাহান্তে ঘুরে আসতে পারেন মঙ্গলগঞ্জের হানাবাড়ি।

১৮০৩ সালে বনগাঁ নাটাবেড়িয়ার কাছে মঙ্গলগঞ্জে এক জমিদার ছিলেন মঙ্গলচন্দ্র আশ। তাঁর ছেলে লক্ষণচন্দ্র আশ বিলেতে গিয়েছিলেন লেখাপড়া করতে। লেখাপড়া যখন শেষের মুখে তখন তাঁর কিছু বিলিতি বন্ধুবান্ধব জোটে। তারা লক্ষণচন্দ্রকে বোঝায় যে দেশে ফিরে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হবে নীল চাষ।

এই সাহেবরা জাঁকিয়ে বসে মঙ্গলগঞ্জে। চাষিদেরকে শস্যচাষ ছেড়ে নীল চাষে উৎসাহিত করতে থাকে। কিছুদিন বাদেই অভিজ্ঞ চাষিরা বুঝতে পারে নীল চাষ যেমন পরিশ্রম সাধ্য তেমনই তা জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট করে। চাষিরা নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। নীলকুঠির ভূগর্ভস্থ ঘরে চাষিদের বন্দি করে রাখা হয়। সাহেবরা পরামর্শ করে, দু-চারজনকে প্রাণে মারলেই বাকিরা চাষ শুরু করবে। বন্দি চাষিদের মধ্যে একটি ছেলে ছিল বুদ্ধিমান। সে সাহেবদের বলল, ”আমাদের যদি টাকা পয়সা কিছু বাড়িয়ে দাও এবং আমাদের মেয়েদের অসম্মান বন্ধ করো তা হলে আমরা আবার চাষ শুরু করতে পারি।” সাহেবরা বাঁধন খুলতে এলেই তার ইঙ্গিতে চাষিরা দলবদ্ধভাবে সাহেবদের ধড় থেকে মাথা আলাদা করে দেয়। সেই থেকেই কুঠিটির নাম হয় ‘কাটা সাহেবের কুঠি’।

আরও পড়ুন: ‘ওয়ার্ক ফ্রম পাহাড়’ করতে চান? জেনে নিন কোথায় মিলছে এমন সুযোগ…

কিভাবে যাবেন – শিয়ালদা থেকে চাকদহ লোকাল ধরে চাকদহ ষ্টেশনে নামতে হবে। লাগবে ঘন্টা দেড়েক। সেখান থেকে বাস ধরে যেতে হবে নাটাবেড়িয়া। সময় লাগবে এক ঘন্টা। তারপর টোটো বা আটোয় মঙ্গলগঞ্জ। এখানে থাকার সুন্দর বন্দোবস্ত আছে। বাঁশের কটেজ অথবা টেন্টে রাত কাটাতে পারেন। রাত্রে ক্যাম্প ফায়ারের আয়োজন হয়। রাতের আলো-আঁধারিতে সুস্বাদু ব্যাম্বু চিকেনে-র স্বাদ পানীয় সহযোগে উপভোগ করতে পারেন। স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় রাত্রে ঘুরে আসতে পারেন ঘন জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত এই পোড়ো নীলকুঠীতে। অঞ্চলবাসীদের মতে, বহু অবিশ্বাসী মানুষেরাও নাকি এখানে ভূতের দর্শন পেয়েছেন।

পরদিন সকালে নৌকায় চড়ে অপর পাড়ে বিভূতিভূষণ (পারমাদন) অভয়ারণ্যে ঘুরে আসবেন। এখানেই ছিল কথা সাহিত্যিক বিভূতিভূষণের বসতবাড়ি। সামনে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাঁর প্রিয় ইছামতি। এই অভয়ারণ্যে রয়েছে প্রায় আড়াইশো হরিণ। ভোরবেলা নানা রকম পাখি দেখতে পাবেন। সঙ্গে ভালো ক্যামেরা থাকলে ছবি বাড়তি পাওনা।

আরও পড়ুন: গঙ্গা ভ্রমণের সঙ্গে মহানগরের ইতিহাস জানার সুযোগ, মাত্র ৩৯ টাকায় ‘ক্রুজ রাইড’ কলকাতায়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest