বিটাউনের সেলেব্রিটিদের সবথেকে প্রিয় জায়গা এখন মালদ্বীপ। মুম্বইয়ের পর বেশিরভাগ সময় মালদ্বীপেই তাঁদের এখন দেখা যাচ্ছে। না, সিনেমার শ্যুটিংয়ের জন্য নয়। প্রিয়জনের সঙ্গে নিভৃতে একা সময় কাটাতেই দেখা যাচ্ছে তাঁদের। কিন্তু এত জায়গা থাকতে মালদ্বীপ এত প্রিয় কেন?
তথ্য বলছে, গত বছরে মালদ্বীপে ১.৯ মিলিয়ন পর্যটক গেছেন। সে সময় সপরিবারে করিনা কাপুর খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে দেখা গিয়েছিল। তার পর এই বছর তাপসী পান্নু, নেহা ধুপিয়া, বরুন ধাওয়ান, দিশা পাঠানি, টাইগার স্রফ, কাজল আগারওয়াল, মাসাবা গুপ্তা -অনেকেই গেছেন সেখানে। স্বাভাবিক ভাবেই অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, এত জায়গা থাকতে কেন মালদ্বীপ। কিছু কারণও সামনে এসেছে।
১. মালদ্বীপ ভ্রমণে এখন কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই করোনা আবহেও। ভিসা পাওয়ার পদ্ধতি খুব একটা জটিল না। এমনকি ভারতীয়রা ৩০দিন বিনা ভিসাতেই থাকতে পারেন মালদ্বীপে।
২. যাওয়াটাও বেশ সোজা। এয়ারপোর্টে নামার পর সি প্লেনে সোজা একটা দ্বীপে নামিয়ে দেয়। তার পর রিসর্টেই থাকছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: হানাবাড়ি দেখতে চান? সপ্তাহান্তে ঘুরে আসতে পারেন মঙ্গলগঞ্জ থেকে, দেখা মিলতে পারে ভূতের
৩. অনেকেই নির্জন জায়গা পছন্দ করেন। মালদ্বীপে ১২০০র বেশি ছোট ছোট দ্বীপ আছে। তার মধ্যে পর্যটকরা শুধুমাত্র ৫০টা দ্বীপে থাকার সুযোগ পান। এর মধ্যেও আবার কিছু কিছু প্রাইভেট বীচ আছে। সেলেবদের সেখানেই দেখা যায় বেশিরভাগ সময়।
৪. অনেকেই আছেন যাঁরা ওয়াটার অ্যাক্টিভিটি ভীষণ পছন্দ করেন। সে ব্যবস্থাও আছে এখানে। স্নরকেলিং, সেইলিং, ওয়াটার ডাইভিং করতে পারেন এখানে এসে।
৫.পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর ও আকর্ষণীয় রিসর্টগুলোর মধ্যে কয়েকটি এখানে আছে। ফলে সেখানেও অনেকে নিভৃতে সময় কাটান।
৬.বিশ্বের প্রথম আন্ডার ওয়াটার রিসর্ট এখন মালদ্বীপেই। মারুকা নাম সেই রিসর্টের। যার ঘরে বসেই সমুদ্রের তলার জীবন, প্রাণী সব দেখা যায়।
৭.মালদ্বীপে সুরক্ষার বিষয়টি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে চুরি, ডাকাতি একেবারেই হয় না। ফলে যে কেউ এখানে গেলে সুরক্ষিত থাকবেন।
৮. মালদ্বীপের চকলেট, টুনা মাছও বিখ্যাত। টুনা মাছের সুস্বাদু পদ থেকে দূরে থাকাটা কিন্তু খুব কঠিন।
৯. মালদ্বীপ ভীষণ শান্ত। সরল, মনোরম পরিবেশ মন ভাল রাখে। এই কারণেও অনেকে যাচ্ছেন স্ট্রেস কাটাতে।
আরও পড়ুন: পুজোয় বেড়াতে যেতে চান কাছেপিঠে? খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলি