পাহাড়ের কোলে বসে অফিসের কাজ করতে চান? আপনার ঠিকানা হতে পারেন ‘কোকুন’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নিউ নর্মালে ভ্রমণপ্রেমীদের অভিধানে নতুন সংযোজন। অর্থাৎ ওয়ার্ক + ভ্যাকেশন। নতুন পরিস্থিতিতে যখন বাড়ি এবং অফিসের দূরত্ব ছোট হতে হতে প্রায় ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে, তখন ওয়ার্কেশন আপনার মন ভাল করবে। বিদেশে এই পদ্ধতির শুরু আগে। দেশেও বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে সুযোগ। কিন্তু মন ভাল করার ঠিকানা এবার একেবারে আপনার হাতের নাগালে। সৌজন্যে দুই বাঙালি উদ্যোগপতি মৃন্ময় চন্দ্র এবং অভীক মজুমদারের পাহাড়ি আস্তানা কোকুন। পুরো নাম ‘কোকুন দ্য সিল্ক রুট রিসর্ট’। পেডং শহর থেকে দূরত্ব তিন কিলোমিটার।

কোকুনের বয়স মাত্র এক বছর। শুরুর পরেই করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউনের জেরে বন্ধ থাকার পর গত ১৯ অক্টোবর থেকে ফের ভ্রমণপিপাসুদের জন্য খুলেছে এই রিসর্ট। নতুন ট্রেন্ড ফলো করে তারপর থেকেই সেখানে ওয়ার্কেশনের ব্যবস্থা করেছেন মৃন্ময় এবং অভীক। গত ২৪ ডিসেম্বর কোকুনের ওয়ার্কেশনের প্রথম অতিথি আইটি সেক্টরে কর্মরক কৌশিক সরখেল পৌঁছেছেন। তিনি থাকবেন ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই আরও অনেকে ওয়ার্কেশনে আসার বুকিং করে ফেলেছেন বলে জানালেন মৃন্ময়।

আরও পড়ুন: নির্জনে হালকা শীতের আমেজ নিতে চান? এ বঙ্গেই রয়েছে নতুন ঠিকানা

“ওয়ার্কেশনের রেসপন্স ভাল। আমাদের হাইস্পিড ওয়াইফাই রয়েছে। যাঁরা আসছেন, কেউ একা আসছেন। টানা কাজের মধ্যে সময় বের করে ট্রেক করে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ১৫ দিনের জন্য বুক করেছেন। প্রথম ১০দিন একা থাকবেন। কাজ করবেন। পরের পাঁচদিন তাঁর পরিবারের সদস্যরা আসবেন। তখন ভ্যাকেশন টাইম”, বললেন মৃন্ময়।

মৃন্ময় আরও জানান, ওয়ার্কেশন পরিষেবার জন্য কোকুনের আলাদা কোনও মূল্য নেওয়া হচ্ছে না। নির্দিষ্ট প্যাকেজের মধ্যেই এই সুবিধা পাবেন ভ্রমণার্থীরা। যাঁরা যেতে চান ঘরে বসেও কাজ করতে পারে। আবার কোকুনের লনেও বেঞ্চ, টেবিলের ব্যবস্থা রয়েছে। শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখেও চলতে পারে কাজ। তাঁদের সুবিধের জন্য ইলেকট্রিক কেটল, কফি মাগ দেওয়া থাকছে। কাজের ফাঁকে চা, কফি তৈরি করে খেতেও পারেন আপনি।

আপনি পাহাড় ভালবাসেন, অথচ অফিসের ছুটি ম্যানেজ করতে পারছেন না, এই পরিস্থিতি হলে কোকুন হতে পারে আপনার আগামী কয়েকদিনের ঠিকানা।

আরও পড়ুন: বাড়ছে পর্যটন, আপনিও উইক এন্ডে ঘুরে আসুন বাংলার ‘ফুলের উপত্যকা’ ক্ষীরাই-এ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest