পদ্ম ডাঁটার আঁশ থেকে তৈরী লোটাস সিল্কের নাম শুনেছেন? দাম শুনলে মাথা ঘুরে যাবে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সিল্ক মূলত হয় রেশম কিট থেকে। তা সকলেরই জানা। নরম এই কাপড় বহু মানুষের পছন্দের। অরিজিনাল সিল্কের দামও বেশ ভালই। তবে দামে এই সিল্কে দশ গোল দিতে পারে লোটাস সিল্ক। ভাবছেন সেটা আবার কি সিল্ক। এর সঙ্গে কি আদৌ পদ্মের সম্পর্ক রয়েছে ? নাকি নিছকই একটা নাম ! কেবল নাম নয়। লোটাস সিল্ক তৈরী হয় পদ্মফুলের ডাঁটা থেকে পাওয়া আঁশ থেকে। যা খুবই নরম। এর থেকে সুতো বের করাও একটা আর্ট। এই সুতোর তৈরী পোশাক পড়লে শরীরে একটা অদ্ভুত আরাম অনুভব হবে। আর আরাম পেতে পেলে দাম তো দিতেই হবে। সাধারণ সিল্কের থেকে এর দাম দশ গুন বেশি।

কম্বোডিয়া, মায়ানমার এবং সম্প্রতি ভিয়েতনামে পদ্মের আঁশ থেকে সুতো বের করার কাজটি হচ্ছে। ফানথি ফুয়ান নামে ভিয়েতনামের এক মহিলার চেষ্টায় সফল হয়েছে পদ্ম ডাঁটা থেকে সুতো বের করার কাজটি। বর্তমানে সেখানে কাজ করছেন বহু মানুষ। তবে সুতো বের করার কাজটি নেহাত সহজ নয়। অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে দক্ষতার সঙ্গে কাজটি করতে হয়। তা নাহলেই নরম যে আঁশ ছিঁড়ে যায়। ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে কেবল আর এই লোটাস সিল্কের নাম সীমাবদ্ধ নেই। এর নাম ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে।

আরও পড়ুন: পচে-গলে কঙ্কালসার! মায়ের মরদেহ নিয়ে ৯ মাস ঘরে মহিলা, চাঞ্চল্য বান্দ্রায়

সুতো বের করার কাজটি একেবারেই সহজ নয়। পদ্ম ডাঁটা তুলে এনে ২৪ ঘন্টা শুকোতে হয়। কিন্তু কেহয়ল রাখতে হয় তা যেন বেশি শুকিয়ে না যায়। তাতে যেন কিছুটা আর্দ্রতা থাকে। তা না হলে পদ্ম ডাঁটা ভেঙে যেতে পারে। তা হলে ষোলো আনা ক্ষতি। আবার আর্দ্রতা খুব বেশি থাকলেও তা থেকে সুতো বের হতে চায় না। অত্যন্ত মুন্সিয়ানার সঙ্গে কাজটি না করলে ফল পাওয়া যায় না। তবে তা যে অসম্ভব নয়, তা প্রমাণ করেছেন ফানথি ফুয়ান।

লাগাতার কাজ করলে ধাপে ধাপে এই আঁশ থেকে স্কার্ফ বানাতে সময় লাগে দুই মাস। একজন দক্ষ কর্মী দিনে দুশো-আড়াইশো টি ডাঁটা থেকে আঁশ আলাদা করতে পারেন। যে কারণে সামগ্রিক ভাবে কাজটা খরচ সাপেক্ষ। একটি পদ্ম সিল্কের স্কার্ফের দাম দুশো ডলারেরও বেশি।  ভিয়েতনামে সাধারণভাবে আগাছা হিসাবেই জন্ম নেয় পদ্ম। বর্তমানে বহু মহিলা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। তবে বিশ্বজুড়ে তা এখনও জনপ্রিয় নয়।  এই কাজে দূষণ নেই। অবশ্যই এটা একটা বড় দিক। সারা বিশ্বের ফ্যাশন ডিজাইনারদের কাছে দিনদিন বাড়ছে লোটাস সিল্কের চাহিদা।

আরও পড়ুন: ‘বিজেপি নেতারাও তো ভিন ধর্মে বিয়ে করেন, তখন লাভ জেহাদ হয় না?’ মোক্ষম প্রশ্ন বাঘেলের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest