As Prince Charles will now become King of Britain, He will enjoy these facilities

Prince Charles: লাগবে না পাসপোর্ট-লাইসেন্স, ব্রিটেনের রাজা চার্লস কী কী সুবিধা পাচ্ছেন জানলে অবাক হতে হয়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

৭৩ বছর বয়সে ব্রিটেনের রাজা হচ্ছেন প্রিন্স চার্লস। রাজার (King Charles) মুকুট মাথায় ওঠার পর থেকেই একগুচ্ছ ক্ষমতা পাবেন। নিয়ম অনুযায়ী, যুবরাজ চার্লসই হবেন ইংল্যান্ড-সহ ১৫টি কমনওয়েলথ দেশের রাজা। ‘কুইন কনসর্ট’ হলেন তাঁর স্ত্রী ক্যামিলা।

৭৩ বছর বয়সি চার্লস ১৯৫২ সালে ইংল্যান্ডের যুবরাজ হন। তাঁর উপাধি ‘প্রিন্স অব ওয়ালেশ’ এখন পাবেন তাঁর বড় ছেলে উইলিয়াম। এতদিন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যা যা সুবিধা পেতেন, তার সবটাই পাবেন চার্লস (King Charles)।

  • সর্বপ্রথমেই ব্রিটেনের জাতীয় সংগীত পালটে যাবে। এতদিন রানিকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় সংগীত গাওয়া হত। ব্রিটেনের জাতীয় সংগীতের প্রথম লাইনে বলা হত, ঈশ্বর আমাদের রানিকে রক্ষা করুন। কিন্তু সিংহাসনের হাতবদল হওয়ার পরে এখন থেকে রাজার কথা মাথায় রেখে জাতীয় সংগীত গাইবে ব্রিটেনের নাগরিকরা।
  • রাজা হওয়ার পর থেকেই চার্লস তৃতীয়কে বিদেশ যাত্রার জন্য কোনও পাসপোর্টের প্রয়োজন পড়বে না। রাজ পরিবারের বাকি সদস্যদের বিদেশ যাত্রার জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন পড়লেও, যিনি রাজা বা রানি হন, তাদের পাসপোর্টের কোনও প্রয়োজন পড়ে না। তাদের নামে কোনও নথিই থাকে না। প্রত্যেকটি নথিতেই তার বদলে হিজ মেজেস্টি শব্দটি উল্লেখ থাকবে। একই কারণে ব্রিটেনের রাজা বা রানির কোনও ড্রাইভিং লাইসেন্সেরও প্রয়োজন পড়ে না।
  • ব্রিটেনের রাজা হিসাবে বছরে দু’দিন নিজের জন্মদিন পালন করতে পারবেন চার্লস। ব্রিটেনের প্রথা অনুযায়ী, জন্মতারিখে ব্যক্তিগতভাবে জন্মদিন পালন করবেন রাজা। তারপরে জুন মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার সর্বসমক্ষে ফের রাজার জন্মদিন পালন করা হবে। এই দিনে ১৪০০ সেনা, ২০০টি ঘোড়া এবং ৪০০জন সংগীতশিল্পী-সকলে মিলে রাজার উদ্দেশ্যে বিশেষ শোভাযাত্রা করেন।
  • ব্রিটিশ শাসক শুধু ব্রিটেনের মানুষদের উপরেই নয়, পশুপাখিদের উপরও রাজত্ব করেন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের সমস্ত রাজহাঁসকেই রাজ পরিবারের অধিকার বলে মনে করা হয়। দ্বাদশ শতাব্দী থেকেই এই নিয়ম পালন করা হচ্ছে। প্রত্যেক বছর রাজ পরিবারের সদস্যরা নিজেদের এই অধিকার প্রদর্শন করেন। থেমস নদীতে ছাড়া হয় হাঁস, তা গোনা হয় রাজ পরিবারের প্রথা মেনে। শুধু রাজহাঁসই নয়, ব্রিটেনের সমস্ত ডলফিন ও তিমি মাছকেও রাজপরিবারের অধিকার বলেই মনে করা হয়।
  • ব্রিটেনের কোনও আইনে রানি বা রাজার (King Charles) কর দেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু ১৯৯২ সাল থেকে রানি স্বেচ্ছায় আয়কর দিয়ে আসছেন। এবার রাজা কী করেন সেটাই দেখার।
  • ব্রিটেনের রাজা বা রানিকে ভোট দেওয়ার দরকার নেই। পার্লামেন্টে যেতে পারেন ঠিকই তবে নির্বাচনে অংশ নেন না রাজপরিবারের কোনও সদস্যই। কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হলে রাজা বা রানির সঙ্গে সপ্তাহান্তে বৈঠক সেরে নেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: Princess Diana: ডিজাইন করেছিলেন প্রিন্সেস নিজেই, ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীর আগে কত টাকায় বিক্রি সেই গাড়ি

  • ব্রিটেনের টাকাতেও বদল আসবে। বর্তমানে ব্রিটিশ টাকায় রানির ছবি দেওয়া থাকত। সেই নোটই এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু এখন নতুন করে চার্লসের ছবি দিয়ে নোট ছাপাতে হবে। গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বেশ কয়েকবছর সময় লাগবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তবে কয়েন থেকে রানির ছবি সরিয়ে ফেলতে আরও বেশি সময় লাগবে।
  • ব্রিটিশ রাজপরিবারের পতাকাতেও বদল আনা হবে। এতদিন যে পতাকা ব্যবহার করা হত, সেখানে রানি এলিজাবেথের নামের প্রথম অক্ষর ‘ই’ লেখা থাকত। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পরে সেই অক্ষর সরিয়ে ফেলা হবে। কমনওয়েলথের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিতেও রানির সফরের সময়ে এই পতাকা উত্তোলন করা হত। কিন্তু ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রধান হিসাবে যুবরাজ চার্লস যখন সফরে যাবেন, সেই সময়েও নতুন পতাকা তোলা হবে। সেখানে সম্ভবত চার্লসের নামের প্রথম অক্ষর লেখা থাকবে।
  • ষোড়শ দশকে রাজা সপ্তম হেনরি রোমান ক্যাথলিক চার্চ থেকে ব্রিটেনকে পৃথক করে ফেলেন এবং ‘চার্চ অব ইংল্যান্ড’ হয় ব্রিটেনের রাষ্ট্রীয় ধর্ম। সেই চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধান ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। শোনা যায়, তিনি চার্চের জন্য বিশপ এবং আর্চবিশপদের মনোনয়নও করতেন।  এবার সেই ক্ষমতা পাবেন রাজা চার্লস।
  • ব্রিটেনের আদালতের বিচারকার্য রানি বা রাজার নামেই সম্পন্ন করা হয়। তাই রানি বা রাজাকে অভিযুক্ত করা বা সাক্ষী দিতে বাধ্য করার ক্ষমতা কারও নেই। রাজ পরিবারের নাকি নিয়ম, রাজতন্ত্রের প্রধানের পক্ষে কোনও অপরাধ করাই সম্ভব নয়।
  • যে কোনও বিলকে পরিপূর্ণ আইনে পরিণত করতে অবশ্যই রানির সম্মতি থাকতে হয়। একটি প্রস্তাবিত আইন ব্রিটেনের দু’টি পার্লামেন্টেই পাস হওয়ার পর তার পরবর্তী গন্তব্য হয় রাজপ্রাসাদে। সেখানে অনুমোদন পেলেই তা আইন হিসেবে গৃহীত হয়। এর আনুষ্ঠানিক নাম ‘রয়্যাল অ্যাসেন্ট’ বা রাজকীয় সম্মতি।

আরও পড়ুন: Queen Elizabeth II: কোহিনূরের মুকুট থেকে পান্নার হার, বিঘের পর বিঘে জমি! কত সম্পত্তি রেখে গেলেন ব্রিটেনের রানি?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest