আহা! ঠিক টুকটুকে লাল আপেলের মত সূর্য উঠেছে আকাশে! মাঝেমধ্যেই কথাটা আমরা সবাই কম বেশি বলে থাকি। আসলে লাল রঙ আর আপেল যেন এক সমার্থক শব্দ! লাল রঙের আপেলের আকর্ষণও যে নেহাৎ কম নয়! তবে ইদানীং গ্রীন বা সবুজ আপেলের চাহিদাও বেশ তুঙ্গেই। এমনকি হলুদ রঙের আপেলের কথাও প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু কালো রঙের কোনও আপেলের সঙ্গে কি কখনও পরিচয় ঘটেছে আপনার?
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। আস্ত এক আপেল, তবে চিরাচরিত লাল বা সবুজ রঙের নয়। ঠিক কালচে বেগুনী তার রঙ। হঠাৎ দেখলে কালো বলেই ভুল হবে। আর বিদেশের মাটিতে এই কালো আপেলের চাহিদাই এখন হার মানাচ্ছে অন্য যে কোনও আপেলকে।
কালো ডায়মন্ড আপেল হচ্ছে হুয়া নিউ আপেলের (চীনে রেড ডালিসিয়াস নামে পরিচিত) একটি প্রজাতি, যা চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতের নিইংচি অঞ্চলে অনন্য গাঢ় রক্তবেগুনি রঙ ধারণ করে। চীনা কোম্পানি ডান্ডং তিয়ানলু শেনগ নং ই-কমার্স ট্রেড লিমিটেড সমুদ্রতল থেকে ৩,১০০ মিটার উচ্চতার ৫০ হেক্টর ফলের বাগান তৈরি করেছে, এই রহস্যময় ফলটির উৎপাদন বাড়ানোর জন্য। এটিকে কালো আপেল চাষের জন্য আদর্শ স্থান হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতি লিটার গাধার দুধের দাম ৭০০০ টাকা! পুষবেন নাকি ?
এই ফলগুলো কালো হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো দিন এবং রাতের মধ্যকার তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য পার্থক্য এবং তীব্র সূর্যালোক এবং অতিবেগুনি আলো, যা থেকে তাদের ত্বক গাঢ় লাল থেকে কালো-বেগুনি রঙের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।বেইজিং, সাংহাই, গুয়াংঝু এবং শেনঝনে শুধু বাছাইকৃত উঁচুমানের সুপার মার্কেটগুলোতে ছয় থেকে আটটি বিরল আপেল ফলের উপহার প্যাকেজ বিক্রি করা হয়। চীনা ভাষার টেনসেন্ট নিউজের খবরে থেকে জানা যায়, কালো ডায়মন্ড আপেলের প্রতিটার দাম ৫০ ইয়ান।
বিশ্বের বাজারে এই আপেলের দাম প্রায় আকাশছোঁয়া। স্বাদ ও রঙের ভিন্নতার কারণেই এর চাহিদা পিছনে ফেলেছে অন্যান্য প্রজাতির আপেলকে। তবে চাহিদা বেশি হলেও তিব্বতের বহু চাষি এখনও কিছুটা নিমরাজি হয়েই এই আপেল চাষ করেন। তার কারণ আর কিছুই না, একটি পরিণত আপেল গাছ হওয়ার জন্য সময় লাগে মোটামুটি ৮ বছর। এই দীর্ঘকালীন অপেক্ষা এবং পরিচর্চার কারণেই এই আপেল হয়ে ওঠে ফলের জগতের এক অন্যতম সম্পদ।
আরও পড়ুন: বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদে জমি কিনে দিলেন রাজস্থানের এই ব্যবসায়ী