Doodle Google in honor of India's first female pilot, Sarala Thukral

Sarla Thukral : ভারতের প্রথম মহিলা পাইলট, সরলাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে ডুডল গুগলের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

একজন মহিলা এয়ারক্রাফ্টে উড়ে যাচ্ছেন, চোখে বিশেষ চশমা, উড়ছে হলুদ আঁচল ৷ গুগল হোমপেজ খুললেই চোখে পড়ছে এই ডুডল ৷ ছবিটি এঁকেছেন বৃন্দা জাভেরি (Vrinda Zaveri) ৷ কে এই মহিলা যাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে গুগল এই ডুডল বানিয়েছে ?

সরলা ঠাকরাল (Sarla Thukral) ৷ 1914 সালে ব্রিটিশ শাসনকালে দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি ৷ পরে লাহোরে চলে যান (বর্তমান পাকিস্তান) ৷ আজ তাঁর 107তম জন্মদিন ৷

1936-এ মাত্র 21 বছর বয়সে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে সরলা “পাইলট লাইসেন্স” পেয়েছিলেন ৷ আর শাড়ি পরে একা “জিপসি মথ” (Gypsy Moth) নামক এয়ারক্রাফ্ট নিয়ে উড়ে গিয়েছিলেন আকাশে ৷ আকাশ এবার মেয়েদেরও ৷ আকাশের খবর ছড়িয়ে পড়ল দুনিয়ায় ৷ সে সময় তিনি 4 বছরের এক কন্যার মা ৷ প্রচলিত প্রবাদ প্রত্যেক সফল পুরুষের পিছনে একজন নারীর অবদান থাকে, এক্ষেত্রে হয়েছিল উল্টোটা ৷

আরও পড়ুন: বিজেপি-র ক্ষেত্রে মহামারি আইন কোথায়? ত্রিপুরায় পুলিশকে প্রশ্ন কুণালের

16 বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয় পি ডি শর্মা-র (P D Sharma) সঙ্গে ৷ ঘটনাচক্রে পাইলট শর্মা ভারতে প্রথম এয়ারমেল পাইলট-এর (Airmail Pilot) লাইসেন্স অর্জন করেছিলেন ৷ তিনি ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতে এয়ারমেল বিমান নিয়ে করাচি থেকে লাহোরে গিয়েছিলেন ৷ শর্মার পরিবারেই ন’জন পাইলট রয়েছেন ৷

এত জন উড়তে থাকা মানুষের মাঝে এসে সরলার মনেও আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছে জাগল, তাঁর উৎসাহে ঘৃতাহুতি দিলেন পাইলট স্বামী ৷ ব্যস, যে সময় ভারতে মেয়েরা লেখাপড়ার কথাও ভাবতে পারতেন না, সেই সময় তিনি আকাশ ছুঁলেন, ইতিহাস তৈরি করলেন ৷ লাহোর ফ্লাইং ক্লাবের (Lahore Flying Club) ছাত্রী হিসেবে এয়ারক্রাফ্টে (Aircraft) 1000 ঘণ্টা সময় ধরে ওড়ার রেকর্ড গড়ে “এ” (A) লাইসেন্স পেলেন পাইলট সরলা ৷

তবে তাঁর স্বপ্নের উড়ান দীর্ঘস্থায়ী হয়নি ৷ 1939-এ স্বামী ক্যাপ্টেন শর্মা মারা গেলেন ৷ এরপর কমার্শিয়াল পাইলটের (Commercial Pilot) লাইসেন্স পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তরুণী বিধবা সরলা ৷ কিন্তু ততদিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (2nd World War) শুরু হয়েছে ৷ তাই এবার পারলেন না তিনি ৷ সন্তান মানুষ করতে হবে, রোজগারের সন্ধানে পাড়ি দিলেন লাহোরে ৷ সেখানে “মেয়ো স্কুল অফ আর্ট”-এ (Mayo School of Art) “বেঙ্গল স্কুল অফ পেন্টিং”-এ (Bengal School of Painting) প্রশিক্ষণ নিয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি পেলেন ৷

স্বাধীনতার পর তিনি দিল্লি ফিরে আসেন ৷ দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন আর পি ঠাকরালকে (R P Thukral) ৷ পরে তিনি একজন চিত্রশিল্পী, সফল শিল্পপতি হিসেবেও খ্যাত হয়েছিলেন ৷ তাঁর আরেক নাম “মাটি” (Mati) ৷ আজকের মহিলাদের অর্ধেক আকাশ চিনিয়েছিলেন, ওড়ার স্বপ্ন দেখানোর পথিকৃৎ সরলা ৷

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest