Site icon The News Nest

Dhanteras: দীপাবলিতে ১ টাকায় কিনুন সোনা! দাম বাড়লে বিক্রি করে তুলুন মুনাফা

gold 1595590100

সাধারণভাবে মানুষ দীপাবলি এবং ধনতেরাসের সময় ঐতিহ্য এবং বিশ্বাস হিসাবে গয়না এবং মুদ্রা আকারে সোনা ক্রয় করে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে, গহনার দোকানে যাওয়া এখনও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এই মরসুমে ভারতে ডিজিটাল সোনায় আরও বেশি মানুষ বিনিয়োগ করছেন। তারা এখন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রেতা এবং পরিশোধকদের কাছ থেকে ডিজিটাল সোনা কিনছেন।

বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে এই সোনা কেনার জন্য। সেই অ্যাপের লকারেই থেকে যাবে কেনা সোনা। যখন খুশি, যত টাকার সম্ভব সোনা কিনে ফেলা যায়। তা জমতে থাকে। আবার ইচ্ছে হলেই তা বিক্রি করে দেওয়া সম্ভব। সরাসরি প্রিয়জনের ফোন নম্বরে উপহার হিসেবেও পাঠানো যায় ওই ডিজিটাল সোনা। সোনার দাম প্রতিদিনই ওঠানামা করে। আন্তর্জাতিক বাজারের দরের সঙ্গে ভারতে দাম ঠিক হয়। যখন কম দর থাকে, সেই সময়ে কিনে রেখে সোনা দামি হলে তা বিক্রি করে দিলে মুনাফা পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে বিক্রিত সোনা বাবদ টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যায়। যাঁরা লাভের জন্য বিনিয়োগ করেন না, তাঁরা সোনাও নিতে পারেন। আবার বিশেষ আর্থিক প্রয়োজনে ওই সোনাকে টাকায় বদলে ফেলতে পারেন।

বর্তমানে ডিজিটাল গোল্ড অফারকারী তিনটি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে অগমন্ট গোল্ড (Augmont Gold) এমএমটিসি-পিএএমপি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড (MTC-PAMP India Pvt. Ltd) যা রাষ্ট্র পরিচালিত এমএমটিসি লিমিটেড এবং সুইস ফার্ম এমকেএস পিএএমপি-র যৌথ উদ্যোগ; এবং ডিজিটাল গোল্ড ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড (Digital Gold India Pvt. Ltd) তার SafeGold ব্রান্ডের সঙ্গে।

এর বাইরে, পেটিএম (Paytm), অ্যামাজন পে (Amazon Pay), গুগল পে (Google Pay) এবং ফোনপে (Phone pay) সহ জনপ্রিয় ওয়ালেটের মাধ্যমে ডিজিটাল সোনা কিনা সম্ভব। যদিও ডিজিটাল সোনা কেনার আগে, গ্রাহকদের কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে যেমন সোনার বিশুদ্ধতা, প্রাইস রেঞ্জ, কর এবং সর্বাধিক হোল্ডিং পিরিয়ড।

বিশুদ্ধতা: যেকোন ডিজিটাল সোনা কেনার আগে গ্রাহকদের ডিজিটাল সোনার বিশুদ্ধতা যাচাই করতে হবে। এমএমটিসি-পিএএমপি থেকে কেনা ডিজিটাল সোনা সেফগোল্ডের সহযোগিতায় প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনা সোনার তুলনায় বেশি বিশুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রাইস রেঞ্জ: ডিজিটাল সোনার প্রাইস রেঞ্জ ১ টাকা থেকে শুরু হয়। এবং গ্রাহকরা অল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে খুবই কম পরিমানে প্রকৃত সোনা কিনতে পারেন।

জিএসটি: ডিজিটাল সোনা ক্রয় করলে, অবশ্যই জানতে হবে যে এটি সোনার মূল্যের উপর ৩ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়, যেমনটি প্রকৃত সোনা কেনার ক্ষেত্রেও হয়। এর বাইরে, ডিজিটাল সোনা প্রদানকারীরা স্টোরেজ খরচ, বীমা এবং ট্রাস্টি ফি প্রভৃতি ব্যয়ের জন্য অতিরিক্ত ২-৩ শতাংশ ফি নেয়।

এই পদ্ধতিতে সোনা কেনার একটা বড় সুবিধা হল নিরাপত্তার কথা আলাদা করে ভাবতে হয় না। সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা অ্যাপ তার লকারে রেখে দেয়। এই সোনায় ভেজাল (খাদ) থাকার কোনও ভয় নেই। ডিজিটাল গোল্ড কেনার জন্য যে কেউ বিনা খরচে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সোনার দাম শহর অনুযায়ী আলাদা আলাদা হয়। তবে ডিজিটাল সোনার ক্ষেত্রে সেটা নয়। গোটা দেশে একই দরে কেনাবেচা করা যায়। বিক্রি করার জন্য ক্রেতার অপেক্ষাও করতে হয় না। যে প্লাটফর্মে সোনা কেনা রয়েছে সেখানেই সরাসরি বিক্রি করে টাকা নিয়ে নেওয়া যায়।

Exit mobile version